করোনাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বাসাভাড়া সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি পিসিপির - Southeast Asia Journal

করোনাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বাসাভাড়া সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি পিসিপির

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অধ্যায়নরত অস্বচ্ছল পাহাড়ী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার সাপেক্ষে বাসাভাড়া সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি এবং সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। গত ২৪ জুন বুধবার পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এক বিৃবতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ দাবি জানায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ম্যাকলিন চাকমা স্বাক্ষরিত ও সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশুতোষ চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণ চাকমা কর্তৃক প্রদত্ত উক্ত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের মহামারী চলছে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ কোভিড-১৯ এ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উর্দ্ধমুখী হারে বেড়েই চলছে। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত মার্চ মাস থেকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও গত ১৮ই মার্চ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন-৭৩ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র আবাসিক সংকটের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে শহর এবং ক্যাম্পাসের আশেপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও মাসের পর মাস বাসা ভাড়া জমা হচ্ছে। এদিকে সরকার আগস্ট মাস পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ছুটি বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় বাসা ভাড়াও আগস্ট মাস পর্যন্ত জমা হতে থাকবে। আবাসন সুবিধা বঞ্চিত এসব অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় খাওয়া-পড়া, বাসাভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য আয়ের যে উৎসসমূহ (টিউশন ও খণ্ড-কালীন চাকরি) রয়েছে সেগুলো বর্তমানে পুরোপুরি বন্ধ থাকার ধরুন এই সংকট গভীর থেকে গভীরতর আকার ধারণ করছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাহাড়ী শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অন্য সকল শিক্ষার্থীর মত অধিকাংশ পাহাড়ী শিক্ষার্থীও আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অপরদিকে তাদের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা আরো অস্বচ্ছল হওয়ায় করোনাকালীন এই সময়ে বাসা ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের অনেক পরিবারেরই দীর্ঘ সময় ধরে জমতে থাকা এই বাসা ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য নেই। ইতোমধ্যে অনেক বাসা মালিক ভাড়া দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার তিন মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও বাসা ভাড়া সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমতাবস্থায় ক্রমবর্ধমান এই সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জোর দাবি জানাচ্ছে।

যেহেতু চলমান এই সংকট গভীর ও দীর্ঘায়িত হচ্ছে, সেহেতু করোনকালীন সময়ে পাহাড়ী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার সাপেক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া পরিশোধের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে এবং এ সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।