শংকর চাকমাকে সভাপতি ও কৃপা রঞ্জন চাকমাকে সম্পাদক করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি গঠন
 
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৩৩ নং নুনছড়ি মৌজার হেডম্যান উদয় শংকর চাকমাকে সভাপতি ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য কৃপা রঞ্জন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর রবিবার নুনছড়ি মৌজার হেডম্যান উদয় শংকর চাকমার আহ্বানে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। পরে পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব প্রত্যুত্তর চাকমা কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটিতে প্রাক্তন দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান ধর্মবীর চাকমা ও ৪৮ নং ডানে ধনপাদা মৌজার হেডম্যান যুব লক্ষণ চাকমাকে সহসভাপতি এবং প্রাক্তন বাবুছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুগতপ্রিয় চাকমা ও ৩২ নং কাটারুং মৌজার হেডম্যান চন্দ্র হংস ত্রিপুরাকে সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
উদয় শংকর চাকমা বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে নই। আমরা শুধু ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করতে চাই। এর জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা করবো। প্রয়োজনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে গ্রামে গ্রামে মিটিং করতে হবে ও কর্মসুচি দিতে হবে। তিনি তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সভায় যোগদান ও কমিটির সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। ধর্মবীর চাকমা বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি মহতি উদ্যোগ। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে অবশ্যই সফল হবো। যদি এই কাজে বাধা আসে তাহলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের জন্য কমিটি হয়েছে। আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। জাতির মুক্তির জন্য বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। অনেক হানাহানি হয়েছে, আর নয়। যুব লক্ষণ চাকমা সংঘাত বন্ধের জন্য কাজ করার পাশাপাশি জায়গা জমি রক্ষার আন্দোলনের উপরও জোর দেন। তিনি বলেন, বাস্তুভিটা হারালে, জনগণ না থাকলে কার জন্য আন্দোলন?
বাবুছড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সন্তোষ চাকমা এই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের আন্দোলনে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন এবং আয়োজক কমিটিকে এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সাধুবাদ জানান।
