খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু)’র মধ্যে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত - Southeast Asia Journal

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু)’র মধ্যে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর মধ্যকার দূরত্বের ও বিভাজনের অবসান ঘটিয়ে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২২ নভেম্বর রবিবার বিকেলে দিঘীনালা উপজেলার বাবু ছড়া ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়ায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর পক্ষে কোম্পানি কমান্ডার আদি বাবু চাকমা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শান্তি দেব চাকমা, দেবদন্ত ত্রিপুরা ও জেএসএস (সন্তু)’র পক্ষে কোম্পানি কমান্ডার উমেশ কান্তি চাকমা, বাদল বাবু চাকমা ও এরিয়া পরিচালক গতিবাবু চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে বিবাদমান ২ গ্রুপের নেতারা এখন থেকে সকল বিভ্রান্তি দূর করে, একে অপরকে দোষ চাপিয়ে না দিয়ে সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়া পাহাড়ের অপর দুটি আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর সকল গতিবিধি নজরদারিতে রেখে তাদের প্রতিহত করে আধিপত্য ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, সরকারের সাথে ১৯৯৭ সালে জেএসএস (সন্তু) সাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধীতা করে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের দাবীতে ১৯৯৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর ইউপিডিএফ (প্রসীত) সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা হয়। সংগঠনে র্দীঘদিন একসাথে থাকলেও অভ্যন্তরীন বিভিন্ন মত পার্থক্যের কারণে একটি পক্ষ বিভক্ত হয়। প্রসীত বিকাশ খীসার একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক লোভসহ আদর্শিক দ্বন্ধের কারণে ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ইউপিডিএফ থেকে বেরিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতান্ত্রিক) এর আত্নপ্রকাশ ঘটে।