ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে বিস্ফোরণে নিহত ১৫
 
নিউজ ডেস্ক
মধ্য আফ্রিকার পশ্চিমের দেশ ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে দফায় দফায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত ও প্রায় ৫০০ জন আহত হয়েছেন। গিনির প্রধান শহর বাটায় স্থানীয় সময় গত রোববার সেনাবাহিনীর ব্যারাকের কাছে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
গিনির প্রেসিডেন্ট তেওডোরো ওবিয়াং নাগুয়েমা এক বিবৃতিতে জানান, সেনাবাহিনীর ব্যারাকে ডিনামাইটের মজুতে অবহেলার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর ধোঁয়া ও ধ্বংসস্তূপের ছবি দেখা গেছে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, বিস্ফোরণে বাটার বেশির ভাগ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্যারাকের চারপাশে কৃষকেরা জমিতে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। এ কারণেও বিস্ফোরণ হতে পারে।’
টুইটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাটার আঞ্চলিক হাসপাতালে যেতে স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি হতাহতদের রক্তদান করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনটি হাসপাতালে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে আহতদের ভিড় জমেছে।
সরকারি টিভির খবরে দেখা গেছে, মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের খোঁজ করছেন। ভবনের ধ্বংসস্তূপে বিভিন্ন জিনিস খুঁজছেন। স্প্যানিশ দূতাবাস গিনিতে সে দেশের জনগণকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। ১৯৬৮ সালে ইকুয়েটোরিয়াল গিনি স্বাধীন হয়।
গিনি নামে চারটি স্বাধীন দেশ আছে। একটি গিনি যা ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীন হয় ১৯৫৮ সালে। এটি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ। স্পেন থেকে ১৯৬৮ সালে স্বাধীন হয়েছে মধ্য আফ্রিকার পশ্চিম তীরের একটি দেশ যার নাম ইকুয়েটোরিয়াল গিনি। ১৯৭৩ সালে পর্তুগিজ থেকে স্বাধীন হয় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউ। ওশেনিয়া মহাদেশে একটি দেশ আছে যার নাম পাপুয়া নিউ গিনি।এই দেশটি স্বাধীন হয় ১৯৪৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে।
