বন রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন রাঙামাটির গ্রামবাসীরা - Southeast Asia Journal

বন রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন রাঙামাটির গ্রামবাসীরা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বনজ সম্পদের ক্ষতি করলে শাস্তির পাশাপাশি গুণতে হয় জরিমানা। আর তা বাস্তবায়ন করেন গ্রামবাসী নিজেরাই। তাদের এই উদ্যোগে এখন অক্ষত রয়েছে রাঙামাটির দুর্গম এলাকার প্রায় ১০ হাজার একর প্রাকৃতিক বনাঞ্চল। বনের গাছপালা আর পশুপাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই যুগ যুগ ধরে এই কাজটি করে আসছেন তারা।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সারোয়াতলি ইউনিয়নের পেরাছড়া, করল্যাছড়ি, চুড়াখালী এলাকায় প্রায় ১০ হাজার একরজুড়ে এই প্রাকৃতিক বন। দুর্গম এলাকায় যেখানে বনভূমি উজার হচ্ছে ধীরে ধীরে, সেখানে গ্রামবাসীর চেষ্টায় আজও এই বনটি অক্ষত।

বনের বেশিরভাগ গাছপালা দেশি প্রজাতির। সবুজের মায়া, পশুপাখির প্রতি ভালবাসা আর পরিবেশ রক্ষায় যুগ যুগ ধরে এর দেখাশোনা করছেন স্থানীয়রা। তাইতো নিরাপদ আবাসে অবাধ বিচরণ বন্য পশুপাখির।

বন থেকে বয়ে চলা ছড়া পাহাড়-টিলার কোল ঘেঁষে চলে গেছে দূরপথে। যা বছরজুড়ে স্থানীয়দের পানির প্রধান উৎস। এছাড়া সারা বছর এর পানি দিয়ে চলে আশপাশের কৃষিকাজ।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এর ব্যাতিক্রম সারেয়াতলির সে এলাকাটি। গ্রামের পার্শবর্তী বনটি অক্ষত থাকায় সেখানকার ছড়ায় সারা বছর পানি থাকে। শুষ্ক মৌসুমে শুধুমাত্র ছড়ার পানির উপর নির্ভর করে প্রায় ১শ হেক্টর ধান্যজমিতে বোরোর আবাদ হয়। এ ধরণের দৃশ্য আসলে খুব বিরল।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের তথ্যমতে সারোয়াতলীতে বন বিভাগের জমির পরিমাণ ৪৫ হাজার ৭৬২ একর। এর তালিকার আওতায় পড়েছে সারোয়াতলির সে বনটি। এ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র বলেন, বনের আশপাশে বন বিভাগের কোন স্থাপনা না থাকলেও গ্রামবাসী এ বনটি রক্ষা করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বনের প্রতি গ্রামবাসীর যে ভালবাসা সত্যি প্রসংশনীয়। গ্রামের মানুষের ভালবাসায় যে বন ঠিকিয়ে রাখা সম্ভব তা সারোয়াতলির মানুষজন প্রমাণ করেছে। তাদের কীভাবে পুরস্কৃত করা যায় সে বিষয়ে বন বিভাগ একটি প্রকল্পের কথা ভাবছে।