ট্যুরিজম উন্নয়নে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশে বান্দরবান রিজিয়ন
 
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবান পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকায় অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের সুবিধার্থে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে ট্যুরিস্ট পুলিশ নানা নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার বান্দরবান রিজিয়নের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড সেনা রিজিয়নের সদর দপ্তরে যান।
বান্দরবান সেনানিবাসের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার জিয়াউল হক প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা জানান। তার অফিসেই প্রতিনিধি দল বান্দরবান ট্যুরিজমের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেন।
চার হাজার ৪৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বান্দরবান পার্বত্য জেলায় মাত্র ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সমতল ভূমি। বাকি আড়াই হাজার বর্গকিলোমিটার পার্বত্যভূমি। এর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাঙ্গু ও শঙ্খ নদীর ব্যাপ্তি ৮৭ কিলোমিটার। পাহাড়-নদী-বৃক্ষরাজি সবই রয়েছে বান্দরবানে। পর্যটন স্পট শৈলপ্রপাত, নীলগিরি, নাফাকুম ঝর্ণা, বগালেক, সুউচ্চ পাহাড় কেওক্রাডং ছাড়াও গহীনে রয়েছে জাদিপাই, তিনাপ সাইতারের মতো নাম না জানা অসংখ্য শতাধিক ঝর্ণা। বিনোদনের এত কিছু থাকার পরও পর্যটকদের সমস্যার শেষ নেই।
এ অবস্থায় বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের সুবিধার্থে বিশেষ ট্যুরিজ হাব গড়ে তোলার কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাওয়া হয় ব্রিগেড কমান্ডারের কাছে। ব্রিগেড কমান্ডার জিয়া সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং এক সাথে ট্যুরিজম উন্নয়নের কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, আমরা এরই মধ্যে স্থানীয়দের নিয়ে পরিবেশবান্ধব কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। অনেক জায়গায় নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে পর্যটকরা লুকিয়ে যাতায়াত করায় নিরাপত্তা দিতে আমরা অপারগ। তিনি ব্রিগেড কমান্ডারকে অনুরোধ করেন ওই সব ট্যুরিস্ট স্পট খুলে দেওয়ার।
প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার ট্যুরিস্ট পুলিশ ব্রিগেড কমান্ডারকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য রেপ্লিকা শুভেচ্ছা উপহার দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেজর এরশাদসহ অন্য কর্মকর্তারা।
