মিয়ানমারে ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা - Southeast Asia Journal

মিয়ানমারে ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের একটি গ্রামে ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সেনাদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গ্রামবাসীদের পুড়ে যাওয়া মরদেহ সাগাইং গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পরই এই মিয়ানমারের এই গ্রামটিতে সেনাদের সঙ্গে জান্তাবিরোধীদের সংঘর্ষ চলছে।

পুড়ে যাওয়া মরদেহের ছবি এবং ভিডিও মিয়ানমারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে রয়টার্স ওই ফুটেজ এবং ছবির সত্যতা নিশ্চিত হতে পারেনি। এ নিয়ে মিয়ানমার জান্তার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন স্বেচ্ছাসেবী রয়টার্সকে জানান, গত মঙ্গলবার ভোরে ডন তাও গ্রামে প্রবেশ করে সেনারা। ওই দিন সকাল ১১টার দিকে নিহতদের হত্যা করা হয়

তবে নিহতেরা কোনো মিলিশিয়া ছিল নাকি গ্রামবাসী ছিল তা নিশ্চিত করতে পারেনি ওই স্বেচ্ছাসেবী।

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিলিশিয়া গোষ্ঠী এবং অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় পিপলস ডিফেন্স ফোর্স বা (পিডিএফ)। এই সংগঠনের সদস্য কিয়াউ উউনা বলেন, আমাকে জানানো হয়েছিল যে সৈন্যরা গুলি চালাতে এসেছে এবং যাদের আটক করা হয়েছিল তাঁদের হত্যা করার আগে গ্রামের কাছে একটি মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

তবে কোনো সূত্র থেকে এই খবর কিয়াউ পেয়েছিলেন তা জানাননি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আরেক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, এই ঘটনার পর পাঁচটি গ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার গ্রামবাসী পালিয়ে গেছেন।

নিহতের একজন স্বজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ২২ বছর বয়সী এইচতেত কো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কোনো মিলিশিয়া দলের সদস্য ছিল না।

মিয়ানমারের ছায়া সরকার ড. সাসা বলেছেন, নিহতদের একসঙ্গে করে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি নিহত ১১ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। তাঁর তথ্য মতে, নিহতেরা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী একজন কিশোর রয়েছে।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমরা এই ধরনের সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষকে তাদের বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি। এই জঘন্য কাজের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।