মিজোরামে অবৈধ সরঞ্জামসহ ৬ বাংলাদেশী আটক
![]()
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের মিজোরামে একটি বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৬ বাংলাদেশী সদস্যকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ১৯৯ নং পারভা ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশের রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ভারতীয় অংশের পারভা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মিজোরাম রাজ্যের লংতলাই জেলার পারভা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানা যায়।

আটকৃতরা হলো, রামডিন্ডলিয়ান (২০) পিতা- লালথান কুং, সাংখুং বম (৩২), লিয়ান বাভিসাং, লালসাংরেম বম (৩৪), লালরাম মাউই (৪৫), নুনসাং বাওম (৩৯)। তারা সকলেই নিজিদেরে বাংলাদেশের বান্দরবান পার্বত্য জেলার রুমা উপজেলার বাসিন্দা বলে বিএএসফের কাছে পরিচয় দিয়েছে।

আটকের পর আসামীদের কাছে থাকা একটি চিঠিতে কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির সভাপতি এবং চীফ অফ স্টাফ সীলমোহরসহ অন্যান্য উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদি দ্বারা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের ১৯৯নং পারভা ব্যাটালিয়ন কমান্ডার। এসময় তাদের কাছে VHF set-১টি, কমান্ডো নাইফ-৩টি ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ছিলো, যা বিএসএফ জব্দ করে।
প্রাথমিকভাবে আটককৃত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের বম জনগোষ্ঠীর বিদ্রোহী সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির সদস্য বলে ধারনা করা হয়।
মূত্র জানায়, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় কুকি-চীন ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশান (KNDO) নামে একটি সংগঠনের আবির্ভাব ঘটে। পরবর্তীতে ২০২১ সালে সেই সংগঠনটি সশস্ত্র সংগঠন রূপে রূপ নিলে কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মি নামে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করা হয়।
বাংলাদেশের স্থানীয় লোকজন এবং সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, KNF সংগঠন জনগণের কাছে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে থাকে। তাদের উশৃংখল আচার-আচরণ এবং তাদের আন্দোলনের কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য উদ্দেশ্য না থাকায় স্থানীয় জনগণ তাদেরকে গ্রহণ করতে পারেনা এবং তারা জনবিচ্ছিন্ন একটি সংগঠনহিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
বিএসএফ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অঅটককৃত ৬ বাংলাদেশী বিচ্ছিন্নতাবাদীকে লংতলাই জেলা পুলিশের কাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।