দ. আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গেছে বাড়িঘর-রাস্তা, নিহত ৩০৬ - Southeast Asia Journal

দ. আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গেছে বাড়িঘর-রাস্তা, নিহত ৩০৬

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৩০৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় আফ্রিকার এই দেশটির পূর্ব উপকূল কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যায় ভেসে গেছে রাস্তা-ঘাট, বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়ি-ঘর। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের সরকার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, বিপর্যয়কর এই বন্যা ও প্রাণহানির এই ঘটনা প্রদেশের ‘ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি’।

আঞ্চলিক সরকার জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণ হারানো সকলের পরিবারের শোকের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। এছাড়া বন্যায় আটকে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সরিয়ে নিতে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলগুলোর প্রশংসাও করেছে তারা।

সিএনএন বলছে, ভয়াবহ এই বন্যা উপকূলীয় শহর ডারবানসহ কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের পুরো অঞ্চলজুড়েই আঘাত করেছে। বেশ কয়েকটি বার্তাসংস্থার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বন্যাকবলিত এলাকার রাস্তাগুলোতে গভীর ফাটল ধরেছে এবং শিপিং কনটেইনারগুলোর একটি বিশাল স্তুপ কর্দমাক্ত পানিতে ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ডারবানের কাছে একটি সেতু ভেসে গেছে, ফলে দু’পাশে আটকা পড়েছে বহু মানুষ।

সংবাদমাধ্যম বলছে, এক নাগাড়ে বৃষ্টির পর ডারবানসহ আশপাশের এলাকায় কাদার স্রোত শুরু হয়। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে শুরু করে। যার জেরে ওই এলাকায় বহু মানুষ কাদার স্রোতে আটকে পড়েন। পাশাপাশি দুর্যোগপীড়িত এলাকার বহু ঘর-বাড়িও কাদার স্রোতের নিচে আটকে পড়ে।

এক নাগাড়ে বৃষ্টি, সেই সঙ্গে কাদার স্রোতে দৃশ্যমানতা কমতে শুরু করে। ফলে উদ্ধার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বেশিরভাগ উদ্ধার কাজ চালানোর চেষ্টা করা হলেও কম দৃশ্যমানতার কারণে তা বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়।

এছাড়া মঙ্গলবার ডারবানে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বলে বুধবার জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

You may have missed