খাগড়াছড়িতে গাঁজার উৎপাদন ঠেকাতে সেনাবাহিনীর অভিযান, ২২০ কেজি গাঁজা ধ্বংস - Southeast Asia Journal

খাগড়াছড়িতে গাঁজার উৎপাদন ঠেকাতে সেনাবাহিনীর অভিযান, ২২০ কেজি গাঁজা ধ্বংস

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে পার্বত্য চট্টগ্রামের দূর্গম এলাকাগুলোতে পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মদদে নিষিদ্ধ মাদক গাঁজার চাষ করে আসছে কতিপয় স্বার্থান্বেষী উপজাতি মাদক কারবারিরা। আর এসব মাদক কারবারিদের প্রতিহত করাসহ মাদক ধ্বংস ও মাদক উৎপাদনে স্থানীয়দের নিরুৎসাহিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

সম্প্রতি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলার একটি এলাকায় দূর্গমতার সুযোগ নিয়ে গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তোলে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ও মাদক কারবারিরা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোন।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৬ জুন) মহালছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ আবু ফয়সাল তুষার এর নেতৃত্বে উপজেলার দাতকুপিয়া আর্মি ক্যাম্পের আওতাধীন বিহারপাড়া এলাকায় উক্ত গাঁজা ক্ষেতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এসময় সেখানে আনুমানিক প্রায় ৪০ শতক গাঁজা ক্ষেত এর সন্ধান পায় তারা। পরে তা জড়ো করে (অন্তত ২২০ কেজি) মহালছড়ি উপজেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সহকারী পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন এবং মহালছড়ি থানার এস আই মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

সূত্র জানায়, গহীন অরণ্য ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এরকম জায়গায় মাদক সন্ত্রাসীরা নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নিয়েছে। আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। প্রত্যন্ত ও দুর্গম এই এলাকায় জনসাধারণের চলাচল নেই বললেই চলে। কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক নজরদারী ও শক্ত গোয়েন্দা কার্যক্রমের ফলে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি জোন।

জানা যায়, গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় বিহারপাড়ার অনিল কুমার চাকমার ছেলে ও জমির মালিক দিলিপ কুমার চাকমা (৫০)। তিনি বিহারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।

সেনাবাহিনী জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি জনসাধারণের নিরাপত্তার পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নসহ মরণঘাতি মাদক প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।