যশোরের শার্শায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ ২ পাচারকারী আটক
নিউজ ডেস্ক
ভারতে পাচারকালে যশোরের শার্শা সীমান্তে সাড়ে ৬ কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ দু’পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার কায়বা এলাকা থেকে অগ্রভুলাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের স্বর্ণেবারসহ আটক করে।
বিজিবি জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে আট কেজি ১৬৩ গ্রাম ওজনের ৭০ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হলেন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি গ্রামের মৃত দেবেন মোড়লের শমসের সর্দারের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বটদৈল গ্রামের মৃত রতন প্রধানের ছেলে হান্নান প্রধান । বিজিবি‘র অভিযানের সময় শার্শা থানার গোগা গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে ইয়াকুব আলী ব্যাকা (৩৪) পালিয়ে যায়।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কায়বার পাঁচকায়বা সীমান্তের আম বাগানের পাশ দিয়ে একটি স্বর্ণের বড় চালান ভারতে পাচার হবে। এমন সংবাদে খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদের (পিএসসি) সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল পাঁচকায়বা নামক স্থানে আম বাগানের মধ্যে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার আসতে দেখে। প্রাইভেটকারটি টহল দলের নিকটবর্তী এলে থামানোর জন্য সঙ্কেত দিলে গাড়িটি থামায়। প্রাইভেটকারের ভিতরে থাকা আটক শফিকুল ইসলাম ও হান্নান প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্দেহজনক মনে হলে টহল দল কর্তৃক প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করা হয়।
তারা জানায়, প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে গাড়ির ষ্টিয়ারিংয়ের সামনে মিটার গেজে স্টিলের বক্সের ভিতরে কসটেপ দিয়ে মুড়িয়ে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় আট কেজি ১৬৩ ওজনের মোট ৭০ পিস স্বর্ণের বার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং প্রাইভেট কারসহ তাদের আটক করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ছয় কোটি ৫২ লাখ টাকা।
২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান পিএসসি জানান, গত ২০২২ সাল হতে খুলনা ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন সীমান্ত এলাকা হতে ২৩ আসামিসহ মোট ৬৫ কেজি ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়েছে। যার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। চোরাচালান প্রতিরোধে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) সর্বদা তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
