৩ সন্তানসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে জাহেরা বেগম - Southeast Asia Journal

৩ সন্তানসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে জাহেরা বেগম

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে জাহেরা বেগম। ২০১৭ সালের ১ জুন খাগড়াছড়ি–দিঘীনালা সড়কের নয় মাইল এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন লংগদু সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। নয়ন হত্যার রেশ ধরে পরদিন ২ জুন লংগদুর পাহাড়ী গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়িদের ১৭৬ টি পরিবার ইতোমধ্যে নতুর বাড়ি পেয়েছে। কিন্তু নয়ন হত্যার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও চাকুরীসহ তেমন কোন সরকারী বা বেসরকারি সহযোগীতা পায়নি তার স্ত্রী জাহেরা বেগম।

এ হত্যাকান্ড ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় লংগদু পরিদর্শনে আসেন সে সময়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ নাসিম। নয়নের বাড়িতে বসে তিনি কথা দিয়েছিলেন তিন সন্তানের জননী জাহেরা বেগমকে সরকারি চাকুরী দিবেন। তবে দুই বছরেও চাকুরীর দেখা পায়নি নয়নের স্ত্রী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জাহেরা বেগম। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সামান্য সহযোগিতায় চলছে চার সদস্যের পরিবারের ভরণ পোষন।

নুরুল ইসলাম নয়নের স্ত্রী জাহেরা বেগম বলেন, ‘কয়েক দিন পরেই আসছে ঈদ। ছেলে মেয়েদের এখনো কিছু কিনে দিতে পারি নি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডির ৩০ কেজি চাল পাই। আর মাঝে মধ্যে স্থানীয় নেতারা বাজার সদাই করে দেন। এ দিয়ে কোনো রকম দিন চলে যায়। পরিবারের উপার্জন করার মতো কেউ নাই। একমাত্র ছেলে সামনে এসএসসি দেবে। আমার নিজের একটা ছোট চাকুরী হলে সন্তানদের নিয়ে বাঁচতে পারতাম।

নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন নয়নের ছোট ভাই দীন ইসলাম লিটন। লিটন বলেন, মামলা দায়েরের এক সপ্তাহের মধ্যেই দিঘীনালা উপজেলার বাসিন্দা রণেল চাকমা ও জুনেল চাকমা নামের ২ জন আসামীকে আটক করে খাগড়াছড়ির পুলিশ।

তবে হত্যাকান্ডে জড়িত লংগদু উপজেলার রাঙ্গিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবু রাজ চাকমাকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। মামলাটি চলমান আছে। আসামীরাও কারাগারে আছে বলেন জানান মামলার বাদী লিটন।