যিশুর সাক্ষাতের আশায় অনাহার, ৪৭ জনের মৃত্যু - Southeast Asia Journal

যিশুর সাক্ষাতের আশায় অনাহার, ৪৭ জনের মৃত্যু

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় যিশুর সাক্ষাতের আশায় ধর্মযাজকের কথায় আমৃত্যু অনাহারে থাকা শুরু করেছিলেন একদল মানুষ। এদের মধ্যে সবমিলিয়ে অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ এপ্রিল) দেশটির মালিন্দি এলাকার একটি গণকবর থেকে আরও ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করায় এ ঘটনায় মারা যাওয়াদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মারা যাওয়া ৪৭ জনের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় একটি গির্জার প্রধান ধর্মযাজককে গ্রেফতার করেছে কেনিয়া পুলিশ।

আমৃত্যু অনাহারে থাকলেই দেখা মিলবে যিশু খ্রিস্টের। ধর্মযাজকের এমন নির্দেশ মানতে গিয়ে লাশ হতে হলো প্রায় অর্ধশত অনুসারীকে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও রহস্যজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে কেনিয়ায়। দেশটির উপকূলীয় শহর মালিন্দির একটি গণকবর থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের পর বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সম্প্রতি অনাহারে থেকে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওই গণকবরের সন্ধান পায় পুলিশ। কবর থেকে তুলে আনা এসব মরদেহের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু রয়েছে বলেও জানা গেছে। এর আগে গত সপ্তাহে একই এলাকা থেকে গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল চার্চ নামে একটি গির্জার ১৫ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, অনাহারে মৃত্যুবরণ করতে অনুসারীদের নির্দেশ দেয়া ওই ধর্মপ্রচারকের নাম পল ম্যাকেঞ্জি। স্থানীয় ওই গির্জার প্রধান ধর্মযাজক তিনি। এরই মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ধর্মযাজক। ম্যাকেঞ্জির দাবি, ২০১৯ সালেই গির্জাটি বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। তবে, গণকবর থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মৃত্যু আসলেই অনাহারে থেকে হয়েছে কি না, তা জানতে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ম্যাকেঞ্জি তার অনুসারীদের একটি পুকুরে নিয়ে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা দেয়ার পর তাঁদের অনাহারে থাকতে বলেন। তিনি নাজারেথ, বেথলেহেম ও জুডিয়া নামে স্থানীয় তিনটি গ্রামের নামকরণ করেছিলেন বলেও জানানো হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেনিয়ায় নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয় কুসংস্কার মানার প্রবণতা বেশি থাকার কারণে প্রায়ই এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটে থাকে।