উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবির কেন্দ্রিক লাগমহীন গুম, খুন ও অপহরণ বাণিজ্য - Southeast Asia Journal

উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবির কেন্দ্রিক লাগমহীন গুম, খুন ও অপহরণ বাণিজ্য

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবির কেন্দ্রিক গুম,খুন ও অপহরণ বাণিজ্য সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এতদিন অপরাধী চক্র রোহিঙ্গাদের গুম,খুন এবং অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসলেও এখন তারা স্থানীয় জনসাধারণকেও গুম, খুন ও অপহরণ করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করছে।

এই ধারাবাহিকতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুধবার (২৪ মে) তিন যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে টেকনাফ দমূমিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে। তারা হলেন, মোহাম্মদ ইউসুফ, রুবেল ও ইমরান। তারা তিন বন্ধু। গত ২৮ মে পাত্রী দেখতে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় চড়ে তারা গিয়েছিলেন টেকনাফে। পথিমধ্যেই তারা শিকার হন অপহরণের। একদল লোক সিএনজি থামিয়ে তাদের অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। অপহরণের পর তাদের পরিবারের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

সেই অপহরণের ২৫ দিনি পর ৩ বন্ধুরই লাশ মিলেছে পাহাড়ে। বাংলাদেশি এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) বুধবার (২৪ মে) দুপুরে লাশের সন্ধান পেয়ে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার সেই পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। পুলিশের একটি টিমও সেখানে অভিযান যায়।

সুত্র মতে, কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউসুফ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তারা তিনজনই বন্ধু।

পারিবারিক সূত্র জানায়, অপহৃত ৩ বন্ধু গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে যান। প্রতিমধ্যে সড়ক থেকে সিএনজি থামিয়ে একদল অপহরণকারী তাদের পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং তাদের নির্যাতনের ভিডিও পাঠায় পরিবারের সদস্যদের কাছে।

ঘটনার পর থেকে অপহৃত ৩ যুবকের পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বারবার স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার এবং কাউকে আটক করা যায়নি।