রোহিঙ্গাদের উস্কানির অভিযোগে এনজিওদের তালিকা করছে সরকার! ২ বছরে মানবিক বিপর্যয় কক্সবাজারে - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গাদের উস্কানির অভিযোগে এনজিওদের তালিকা করছে সরকার! ২ বছরে মানবিক বিপর্যয় কক্সবাজারে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরের খেতাব পাওয়া বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সেদেশে ফেরত পাঠাতে আপ্রান চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। বিপরীতে রোহিঙ্গাদের উস্কানি দিয়ে নিজ দেশে না যেতে প্রলোভন দেখাচ্ছে গুটি কয়েক দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থা। আর এসব অভিযোগে অভিযুক্ত এনজিও গুলোর তালিকা করছে সরকার।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সরাসরি চাপ না দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা উচিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গারা যাতে দেশে ফেরত না যায়, সে ব্যাপারে কিছু এনজিও ইন্ধন যোগাচ্ছে এবং সেখানে রাজনীতি করছে।

রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় এবার দ্বিতীয় দফায় গত বৃহস্পতিবার তাদের ফেরত পাঠানোর সব প্রস্তুতি নেয়ার পরও তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার এখন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা বলছে।

নাগরিকত্ব বা নিরাপত্তার প্রশ্নসহ দাবি-দফার মীমাংসা ছাড়া রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমারে ফেরত যেতে রাজি নয়, এর পিছনে দেশি-বিদেশী কিছু এনজিও’র হাত রয়েছে এবং এসব এনজিও সেখানে রাজনীতি করছে বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করছে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমন এনজিওদের একটি তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে তাদের কিছু নেতার ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে শরণার্থী নামক রোহিঙ্গা ঢলের দুই বছর আজ।
মানবতা দেখিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। দুই বছরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৪৭১টি মামলা হয়েছে সারাদেশে আর আসামির সংখ্যা এক হাজার ৮৮ জন। এছাড়া ৩২ জন রোহিঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত। উখিয়া ও টেকনাফে ধ্বংশ করা হয়েছে অন্তত ৬ হাজার ১৬৩ একর বনভূমি। রোহিঙ্গাদের চাপে স্থানীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে কক্সবাজারে দারিদ্র্য ৩ শতাংশ বেড়েছে।

সীমান্তবর্তী টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ২৮টি পাহাড়ের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে ৪৬৪ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বনজ সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। স্থানীয় শ্রমবাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে রোহিঙ্গাদের কারণে। ১০৫টি এনজিওতে স্থানীয় দুই হাজার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে তবে রোহিঙ্গাদের পেছনে ২ বছরে বাংলাদেশের খরচ ৭২ হাজার কোটি টাকা! রোহিঙ্গাদের চাপে উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয়রাই এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। পুরনোদের সহায়তায় নতুন করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা।