দীঘিনালায় ফের সেনাবাহিনীর ওপর গুলি, পাল্টা গুলিতে ৩ ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী নিহত
 
                 
নিউজ ডেস্ক
রাঙ্গামাটির রাজস্থলী ও বাঘাইছড়ির পর এবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আবারো সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সেনাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে প্রসীত পন্থি ইউপিডিএফের ৩ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৩টি অস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগষ্ট) বেলা এগারোটার সময় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, জেলার দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার অদূরে বড়াদম এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে সেনাবাহিনীর অভিযান দলের ওপর অতর্কিত গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় আত্মরক্ষার্থে টহলরত সদস্যরাও পাল্টাগুলি বর্ষণ করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিন সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় আশে-পাশে তল্লাশী চালিয়ে ২টি পিস্তল, ১টি আমেরিকান তৈরি এম-৪ অটোমেটিক কার্বাইন ও ৬ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহতদের দুজন নবীন চাকমা (২৫) ও রসুল চাকমা (২৭) একই উপজেলার কৃপাপুর এলাকার বাসিন্দা। নিহত অপর ব্যক্তি ভুজেন্দ্র চাকমা (৫২), তিন সন্তানের জনক এবং পাবলাখালী এলাকার বাসিন্দা। এলাকায় তারা ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’-এর রাজনৈতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
গণমাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান।
প্রসঙ্গত: গত ১৮ই আগষ্ট রোববার রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার দুর্গম গাইন্দা এলাকায় একটি নিয়েমিত সেনা টহলের উপর সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণ করলে নাসির (১৮) নামে এক তরুণ সৈনিক নিহত হয়। একই দিন ওই এলাকায় তল্লাশী চালানোর সময় সন্ত্রাসীদের পুতে রাখা মাইন বিষ্ফোরণে ক্যাপ্টেন মেহেদী ও সৈনিক মোহসীন গুরুতর আহত হয়। পাঁচদিনের ব্যবধানে শুক্রবার আবারও জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক সড়কে নিয়মিত সেনাটহলের উপর গুলি চালিয়েছে পার্বত্য আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রসীরা। এবার হামলা চালানো হয় সেনাবাহিনীর টহল গাড়িতে। এসময় সেনা সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে আক্রমণকারী সন্ত্রাসীদলের একজন নিহত হয়। নিহতের নাম সুমন চাকমা (২৭) সে আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ সদস্য বলে জানা গেছে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও দীঘিনালায় সেনাটহলের উপর এই গুলি চালানোর ঘটনা স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। হতবাক হয়ে গেছে প্রশাসন।
