টাওয়ারে হামলার তিন মাস পরও মেরামতে অনিশ্চয়তা, দুই টেকনিশিয়ান অপহৃত
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গা ও মানিকছড়ি উপজেলার ৮টি রবি মোবাইল টাওয়ারে একযোগে হামলার ঘটনার তিন মাস পার হলেও এখনও তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি নেই। আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) মানিকছড়ি উপজেলার ময়ুরখীল এলাকায় মেরামত করতে আসা রবি টেকনিশিয়ানদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার ঘটনায় পাহাড়ে মোবাইল সেবার ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
রবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি রাতে একযোগে ওই ৮টি মোবাইল টাওয়ারে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে যন্ত্রাংশ ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করে। এরপর থেকে টাওয়ারগুলো বন্ধ রয়েছে এবং গ্রাহকরা মোবাইল সেবা থেকে বঞ্চিত।
শনিবার বিকেলে মানিকছড়ির ধর্মঘর ইউনিয়নের ময়ুরখীল এলাকায় একটি ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য দুজন টেকনিশিয়ান ঘটনাস্থলে গেলে, মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন সশস্ত্র উপজাতি ব্যক্তি তাদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। সড়কে চলাচলরত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, “ঘটনার বিষয়ে লোকমুখে শুনেছি। তবে টাওয়ার সংশ্লিষ্ট কেউই প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তারপরও আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে মোটা অংকের বাৎসরিক চাঁদা দিতে হয়। রবি কোম্পানির সঙ্গে কোনো গোষ্ঠীর চাঁদা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই হয়তো এ হামলা ও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
ঘটনার জন্য স্থানীয়ভাবে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করা হলেও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।