সাজেকে ইউপিডিএফের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বিক্ষোভ
 
                 
নিউজ ডেস্ক
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকায় প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাঙ্গালি জনগণ। আজ সোমবার (১৯ মে) বিকেলে বাঘাইহাট বাজারে বাঘাইহাট জীপ মালিক সমিতির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইউপিডিএফ সদস্যরা আবারও সশস্ত্র সন্ত্রাস ও নিরীহ বাঙ্গালিদের ওপর চাঁদাবাজি, হুমকি ও নির্যাতন শুরু করেছে। তারা অভিযোগ করেন, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্ধারিত চাঁদার টাকা না দিলে গাড়ি আটকে রাখাসহ জীবনের হুমকি দিচ্ছে।
বক্তারা জানান, ১৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সাজেক ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেতকাবা এলাকায় জীপ মালিক সমিতির একটি চাঁদের গাড়ি ইউপিডিএফ (মূল)-এর সদস্যরা আটক করে রেখেছে এবং সেটি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সংগঠনটি বাঙ্গালি মালিক ও চালকদের গাড়ি চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে বহু পরিবার চরম মানবিক সংকটে পড়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “সাজেক অঞ্চলে আগে কখনো এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা যায়নি। জুলাই বিপ্লবের পর দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে এই সন্ত্রাসীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা তাদের আরো বেপরোয়া করে তুলেছে।”
প্রতিবাদকারীরা ইউপিডিএফকে একটি উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, পাহাড়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা এবং বাঙ্গালি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী উভয় সম্প্রদায়ের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা আরও জানান, বাঘাইহাট এলাকার জীপ মালিক সমিতি, চালক, লেবার ও সাধারণ জনগণ এ অবিচার আর মুখ বুজে সহ্য করবে না। সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ে সশস্ত্র চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস এবং সাধারণ মানুষের উপর জুলুম চালিয়ে আসছে। এই সংগঠনের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই পাহাড়ি শান্তিপ্রিয় জনগণের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। বাঙ্গালি জনগণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাধারণ মানুষও ভয় ও জুলুমের শিকার। অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই সশস্ত্র সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা না হলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
