খাগড়াছড়িতে প্রচলিত গ্রাম্য আদালতের বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (এভিসিবি)’র আওতায় খাগড়াছড়িতে “পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত গ্রাম্য আদালতের বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সদরের অরুনিমা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির সহযোগীয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির মং সার্কেল সাচিং প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসাসহ বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, হেডম্যান-কার্বারী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও তৃণমূল পর্যায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সকল শ্রেণীর মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে হয়রানি আর আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার সারাদেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও প্রচলিত গ্রাম্য আদালতের বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, ‘জুডিশিয়াল বিচারব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সরকার এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে এখানকার প্রথাগত আইন, রীতিনীতি, সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এ প্রকল্প সহায়ক হবে বলে দাবি করে বক্তারা আরো বলেন, সমতল এলাকায় গ্রাম আদালত যেভাবে কাজ করে পার্বত্য এলাকায় তার কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এখানে প্রতিটি মৌজায় হেডম্যান ও কারবারি রয়েছেন, যারা ইতিমধ্যে গ্রামের সমস্যাগুলো গ্রামেই সমাধানের চেষ্টা করেন। এই প্রকল্প কার্যক্রমের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং এ এলাকায় গ্রামীণ জনসাধারণ কম খরচে ও স্বল্প সময়ে বিচারিক সেবা পাবে।’
এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাঙ্গামাটি শহরে পর্যটন কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহউল ইসলাম। জানা যায়, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার ১২১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত থাকবে। সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতিবিষয়ক অপরাধের বিচারকাজ করতে পারবে এ আদালত। স্থানীয় সরকার বিভাগ এর মাধ্যমে নিজেদের অর্থায়ন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় আগামী চার বছর প্রকল্পটি পরিচালিত হবে।
