৫ মারমা যুবক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার সেনাবাহিনীর

৫ মারমা যুবক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার সেনাবাহিনীর

৫ মারমা যুবক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার সেনাবাহিনীর
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনা বাহিনীর উদ্যোগে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির স্বজাতির ছাত্রীকে ৫ মারমা যুবক কর্তৃক দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে পাইন্দু হেডম্যান পাড়ায় এ সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের রুমা জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আলমগীর হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহওয়ার্দী, পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা, অগ্রবংশ অনাথালয়ের পরিচালক উ. নাইন্দিয়া ভিক্ষু, মৌজা হেডম্যান মংচউ মার্মা, কারবারি, মেম্বারসহ স্থানীয় নারী-পুরুষ।

সভায় জোন অধিনায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, “ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। কোনোভাবেই ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি বা একঘরে করা যাবে না। বরং তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এতে তাদের মনোবল শক্ত হবে।”

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সহযোগিতার নামে কেউ চাঁদা তুললে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে যারা চাঁদা সংগ্রহ করে অপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৫ মারমা যুবক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার সেনাবাহিনীর

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত ২৪ আগস্ট রাতে এলাকায় সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয় এবং বাধ্যতামূলক চাঁদা সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়। তবে অধিকাংশ গ্রামবাসী তা মানতে রাজি হননি।

এ প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সবার। খুন, ধর্ষণ বা মারামারির মতো অপরাধ ঠেকাতে একে অপরের সহযোগিতার পাশাপাশি প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

এদিকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রুমা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। বাকি দুজন পলাতক রয়েছে।

সভা শেষে জোন অধিনায়ক ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন এবং নির্ভয়ে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সার্বিকভাবে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্থানীয়রা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রামীণ সমাজে আইন-শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।