গুইমারায় তুচ্ছ ঘটনায় মব সহিংসতা, আড়ালে ইউপিডিএফের রাজনৈতিক চাল
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রীর শরীরে হাত লাগাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তুচ্ছ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল ইউপিডিএফ এই ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহার করে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে এক ব্যবসায়ী তার গাড়িতে কলা তোলার সময় অসাবধানতাবশত ওই ছাত্রীর গায়ে হাত লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত কয়েকজন পাহাড়ি লোকজন ব্যবসায়ীকে মারধর করে। একপর্যায়ে বিষয়টিকে বড় করে মব সহিংসতার রূপ দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি সেনা জোনের সদস্যরা ও গুইমারা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিতে চাইলে ইউপিডিএফ-সমর্থিত সংগঠন পিসিপি ও তাদের অনুসারীরা বাধা দেয়। তারা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে, যার ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা অতীতে ইউপিডিএফের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং একসময় সন্ত্রাসী তৎপরতার কারনে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তাই সংগঠনটি ঘটনাটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভিন্ন খাতে নিয়ে গিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে।
এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। অতীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এবার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউপিডিএফ গুইমারায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পাহাড়ি-বাঙালি দাঙ্গার আশ্রয় নিতে চাইছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গুইমারা উপজেলায় পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের অভিমত, ইউপিডিএফের লক্ষ্য হচ্ছে প্রশাসনকে চাপের মুখে ফেলে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করা। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সংগঠনটি।
এলাকার বিশিষ্টজনরা বলছেন, তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করে উপস্থাপন ও শিক্ষার্থীদের মিছিলে নামানো আসলে ইউপিডিএফের পুরনো কৌশল। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পাহাড়ে অস্থিরতা বজায় রাখতে চায়।
বর্তমানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, ইউপিডিএফের এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।