জেএসএস ও ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায়- সিএইচটি সম্প্রীতি জোট

জেএসএস ও ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায়- সিএইচটি সম্প্রীতি জোট

জেএসএস ও ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায়- সিএইচটি সম্প্রীতি জোট
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট। সংগঠনটি বলেছে, এসব প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক ও উত্তেজনামূলক, যা শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করছে। জেএসএস ও ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায় বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।

শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের সমন্বয়ক থোয়াইচিং মং শাক লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে গুম, খুন ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার এবং আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর দেশবিরোধী অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করা, ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানায় সিএইচটি সম্প্রীতি জোট।

শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশের সংবিধান প্রদত্ত সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। তারা বলেন, জেএসএস ও ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উন্নয়ন নয়, সংঘাত চায়। নিজেদের স্বার্থে শান্তিপ্রিয় পাহাড়িদের জীবনকে জিম্মি করছে। বর্মাছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপন জনগণের নিরাপত্তার জন্য একটি প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব সংগঠন ধর্মীয় উপাসনালয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জনগণকে ভুল তথ্য দিচ্ছে, যা ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের শামিল। সিএইচটি সম্প্রীতি জোট এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে পাহাড়ি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

সংগঠনটি মনে করে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন টেকসই করতে হলে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য। বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে সংবিধান ও জাতীয় আইনই সর্বোচ্চ। রাষ্ট্রবিরোধী বা বিভাজনমূলক বক্তব্য দেশপ্রেমের পরিপন্থী।

জোটটি সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, তারা পাহাড়ের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও কর্মসংস্থানে রাষ্ট্রের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়ে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট জনগণকে তাতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভ্রান্তি বা ঘৃণামূলক প্রচার নয়, বরং সংলাপ, সহনশীলতা ও আইনের পথে সমস্যার সমাধানই পার্বত্য চট্টগ্রামকে “সম্প্রীতির পাহাড়” হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এক বাংলাদেশ, এক পতাকা, এক ভবিষ্যৎ—এই আদর্শে ঐক্যবদ্ধ থাকলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলেও মনে করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের মুখ্য সমন্বয়ক পাইশিখই মারমা, সমন্বয়ক ইখতিয়ার ইমন, জাফরুল হাসান, রাকিব হোছাইন নওশাদ ও তনময় হোসেন নাসির।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *