খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি নিয়ে দুই মারমা সংগঠনের উদ্বেগ: অবরোধের নামে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান

খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি নিয়ে দুই মারমা সংগঠনের উদ্বেগ: অবরোধের নামে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান

খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি নিয়ে দুই মারমা সংগঠনের উদ্বেগ: অবরোধের নামে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মারমা সম্প্রদায়ের দুইটি সংগঠন— মারমা উন্নয়ন সংসদ এবং বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ। আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটি ধর্ষণের বিচার দাবি করলেও অবরোধের নামে সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িক উসকানির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মংখই মারমা ও বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদ, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি নিয়ং মারমা স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক মারমা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। তবে এ ঘটনার প্রতিবাদে “জুম্ম ছাত্র-জনতা” ব্যানারে ডাকা অবরোধের সময় ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর যেভাবে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, তা কোনোভাবেই ন্যায্য আন্দোলনের অংশ হতে পারে না।

সংগঠনের নেতারা দাবি করেন, শান্তিপ্রিয় মারমা জনগোষ্ঠী কিংবা তাদের সংগঠন দুটি এ সব সহিংস ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নয় এবং তারা সাম্প্রদায়িক সংঘাতকে সমর্থন করে না।

তাদের অভিযোগ, “জুম্ম ছাত্র-জনতা” ব্যানারের আড়ালে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল পাহাড়ি জনগণকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে।

সরকারের প্রতি আহ্বান

যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে তিন দফা আহ্বান জানানো হয়েছে—

১. ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে পাহাড়ি-বাঙালি সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে।

২. অবরোধ আহ্বানকারীদের প্রতি আহ্বান, সাধারণ মানুষের চলাচল ও নিরাপত্তা বিবেচনায় এবং শারদীয় দুর্গোৎসবের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে।

৩. পাহাড়ি-বাঙালি সকল নাগরিককে সংযত থাকার অনুরোধ, কোনো উসকানিতে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে সংঘাতে জড়ানো যাবে না। চলমান সংকট উত্তরণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে।

বিবৃতির শেষে তারা বলেন, “এই পাহাড় আমাদের সবার। কোনো বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের সৌন্দর্য। আসুন, সবাই মিলে শান্তির স্থাপনে সহায়তা করি।”

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।