‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল পাহাড়ি জনগণকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে’
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাবলীর পেছনে পরিকল্পিত প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে মারমা সম্প্রদায়ের দুইটি সংগঠন — মারমা উন্নয়ন সংসদ এবং বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ। আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, “জুম্ম ছাত্র-জনতা” ব্যানারের আড়ালে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল পাহাড়ি জনগণকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা করছে।
বিবৃতিতে সংগঠন দুটি জানায়, খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক মারমা কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কিন্তু এ ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর যেসব সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে—সেটি কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের অংশ হতে পারে না।
বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মংখই মারমা এবং মারমা উন্নয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক নিয়ং মারমা স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে তারা স্পষ্ট করে জানান—শান্তিপ্রিয় মারমা জনগোষ্ঠী কিংবা তাদের কোনো সংগঠন এসব সহিংস ঘটনায় জড়িত নয় এবং তারা সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরোধী।

সরকারের প্রতি তিন দফা আহ্বান
সংগঠন দুটি তাদের বিবৃতিতে নিম্নোক্ত দাবিগুলো জানায়—
১. ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি পাহাড়ি-বাঙালি সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে যেতে হবে।
২. অবরোধ আহ্বানকারীদের প্রতি আহ্বান, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও শারদীয় দুর্গোৎসবের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. পাহাড়ি-বাঙালি সকল নাগরিককে সংযত থাকার অনুরোধ, কোনো উসকানিতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সংঘাতে জড়ানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে।
বিবৃতির শেষে তারা বলেন, “এই পাহাড় আমাদের সবার। কোনো বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের সৌন্দর্য। আসুন, সবাই মিলে শান্তির স্থাপনে সহায়তা করি।”
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।