স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন পাহাড়ের নারীরা, সরকারী প্রণোদনায় মিলতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তি
![]()
মো: সাইফুল ইসলাম
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের রঞ্জিতা চাকমা। ঘরসংসার করেই দিন কেটেছে। সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে মোমবাতি তৈরির ওপর তিন মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শেষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ৬ হাজার টাকা এককালীন দেওয়া হয় তাকে। তা দিয়ে মোমবাতি বানানোর মেশিন ক্রয় করেন। এখন বাড়িতে বসে মোমবাতি বানিয়ে বিক্রি করেন। মোমবাতি বিক্রির টাকায় ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া খরচ চালাচ্ছেন। পরিবারেও আর্থিক সহযোগিতা করছেন। রঞ্জিতা চাকমা জানান, এলাকায় মোমবাতির চাহিদা থাকায় উপার্জনও ভালো হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মতো রামগড়, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি ও সদর উপজেলায়ও নারী উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এই উদ্যোগের আওতায় টেইলারিং, বুটিক বাটিক, বিউটিফিকেশন, ক্রিস্টাল শোপিস, শতরঞ্জি, হস্তশিল্প, মোমবাতি ও মাশরুম চাষসহ নানা কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের কর্মমুখী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলার তিন শতাধিক নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা হিসেবে ১৭ জন নারী পেয়েছেন জয়িতা পুরস্কার। বর্তমানে আরও ৫০ জন নারীকে কর্মমুখী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি জেলাজুড়ে আরো অন্তত এক হাজার নারী নিচ্ছেন প্রশিক্ষন।
প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভাগ্য বদলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা। সংসারের কাজের ফাঁকে তারা কেউ বানাচ্ছেন মোমবাতি, কেউ করছেন সেলাইয়ের কাজ। বুটিক বাটিক, বিউটিফিকেশন, ক্রিস্টাল শোপিস, শতরঞ্জি, হস্তশিল্প ও মাশরুম চাষসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরাও স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য মূলধন হিসেবে তাদের প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার টাকা করে। এই টাকা দিয়ে তারা ক্রয় করেছেন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে সেলাইয়ের ওপর তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর বাড়িতে বসেই আয় করছেন উপজেলার দীঘিনালা ইউনিয়নের বাঘাইছড়িমুখ গ্রামের রিপনা চাকমা। সেলাই কাজে উপার্জিত টাকায় চলছে তার অভাবের সংসার। অভাবের সংসারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সেলাই মেশিনের চাকায় ঘুরছে রিপনা চাকমার ভাগ্যের চাকাও। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রিপনা চাকমা জানান, ‘প্রশিক্ষণ ও টাকা না দিলে আমি বাড়িতে বসে উপার্জনের সুযোগ পেতাম না। এখন বাড়িতে সেলাই কাজ করে পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কিছু টাকা সঞ্চয়ও করছি।’
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৫০ জন নারী টেইলারিং, বুটিক বাটিক, ক্রিস্টাল শোপিচ, শতরঞ্জি, হস্তশিল্প ও মোমবাতি তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। স্বামী পরিত্যক্তা ও সমাজের অসহায় নারীদের পাশাপাশি শিক্ষিত নারীরাও রয়েছেন এই প্রশিক্ষণে। এক রুমে সেলাইয়ের পাশাপাশি চলছে নকশিকাঁথা ও বেডসিটের ওপর ফুল তৈরির প্রশিক্ষণ। অন্য রুমে চলছে বুটিক বাটিক, ক্রিস্টাল শোপিচ, শতরঞ্জি ও মোমবাতি তৈরির প্রশিক্ষণ।
প্রশিক্ষণার্থী আয়শা আক্তার ও স্নেহা চাকমা বলেন, ‘পরিবারের প্রয়োজনে বাড়তি উপার্জন করার জন্য হাতের কাজের ওপর আমরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আমাদের আগে এখান থেকে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা এখন উপার্জন করে পরিবারে আর্থিক চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করছেন। তাই তাদের দেখে আমরাও প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি।’
প্রশিক্ষক সোহাস্তী চাকমা জানান, এ পর্যন্ত যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের অধিকাংশই এখন কর্মমুখী। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের নারীরা ঘরে বসেই উপার্জন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ পর্যন্ত উপজেলার তিন শতাধিক নারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এখন উপার্জন করছেন। নারী-পুরুষের মাঝে সমতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
উদ্যোক্ত হিসেবে জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্ত উপজেলার বড়াদম এলাকার মায়ালতা চাকমা ও কলেজ টিলার গোলাপি চাকমা বলেন, ‘নারী উন্নয়নে আমরা নানাভাবে কাজ করছি। স্বাবলম্বী পরিবার গঠন করতে হলে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও উপার্জন করতে হবে। তাই বসে না থেকে ঘরে বসে নারীরাও যাতে উপার্জন করতে পারে সে জন্য উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে নারীদের কর্মমুখী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।’
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অনুকা খীসা জানান, ‘উন্নয়নের জোয়ার এখন, নয় আর কোনো গল্প নারীর কষ্ট মুছবে আইজিএ প্রকল্প’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা নারী উন্নয়নে আইজিএ প্রকল্পের আওতায় নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি। সমাজের নারীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে সে জন্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তাদের প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেসব নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদেরও সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো. কাশেম জানান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের এই সৃষ্টি করেছে। তাদের এই উদ্যোগের কারণে গ্রামীণ নারীরা পর্যায়ক্রমে কর্মমুখী হয়ে উঠছেন।

এছাড়া প্রশিক্ষণ নিয়ে পাহাড়ী নারীরা তুলা থেকে চরকার মাধ্যমে সুতা তৈরি করেন। সেই সুতায় রং লাগিয়ে কোমর তাঁতে পোষাক বুনে থাকেন। কোমর তাঁতের বুনা কাপড় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীরা পরিধান ও বিক্রি করেন। বর্তমানে কোমরতাঁতে তৈরি কাপড়ের চাহিদা দেশব্যাপী বৃদ্ধি পাওয়ায় পাহাড়ী নারীরা পরিবারে বাড়তি আয় জোগাতে ঘরে সংসারিক কাজের ফাঁকে ও অবসর সময়ে কোমরতাঁতে কাপড় বুনতে বসে পড়েন। ইদানিং পাহাড়ি নারীদের বোনা এ সব তাঁতের কাপড় পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়াও তাঁতে বোনা এ সব কাপড় রফতানি হচ্ছে মায়ানমার-ভারতসহ বেশকিছু দেশেও। স্থায়ীভাবে কোনো বাজার গড়ে না উঠলেও পাহাড়ী নি জেলার পর্যটনস্পট গুলোতে নিজ উদ্যোগে একটি অস্থায়ী বাজার গড়ে তুলেছেন এসব নারীরা। সকাল-সন্ধ্যা পাহাড়ি নারীরা কোমরতাঁতে বোনা কাপড় বিক্রি করে থাকেন। পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা এ সব কাপড়ের প্রধান ক্রেতা। এ ছাড়াও পর্যটন কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বাজারগুলোতে পাহাড়ি নারীদের তৈরি কোমরতাঁতের বিভিন্ন রকমের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, পাহাড়ি নারীরা শিমুল তুলা জুমে চাষ করে থাকেন। তুলা থেকে সুতা তৈরি করতে একমাস থেকে প্রায় দু’মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আদিবাসী নারীরা বাঁশের কাঠি দিয়ে বিশেষ কায়দায় কোমরের সঙ্গে বেঁধে তাঁতের কাপড় বুনে থাকে বলে এটিকে কোমরতাঁত বলা হয়।
২০১৮ সালের ১ জুলাই ১২০ জন নারীকে নিয়ে প্রথম দফায় ৩ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু হয় পাহাড়ে। তাদের পাটজাত দ্রব্য তৈরি, মোমবাতি তৈরি, নকশি কাঁথা সেলাই, টেইলারিং (পুরুষ ও মহিলাদের কাপড় তৈরি) এবং পুঁথি দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রথম দফার প্রশিক্ষণ শেষে গত ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর বাকি ১২০ জনকে নিয়ে দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ শুরু হয়। সমতল জেলা থেকে দুজন প্রশিক্ষক এনে তাদের দুই দফায় ৬ মাস প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বতর্মানে দুই গ্রুপের নারীরা (মহিলা ও মেয়ে) প্রশিক্ষণ শেষ করে কাজ করা (উৎপাদন) শুরু করেছে।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলা থেকে ৩/৪ কিলোমিটার দূরের নিভৃত পল্লী হাতিয়াপাড়া। যেখানে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো। পিছিয়ে পড়া এ জনপদে নেই কোনো ফসলি জমিও। এখানকার বেশিরভাগ মানুষেরই অবস্থান দারিদ্র্যসীমার নীচে। সেখানেই মোড়া তৈরি করে টেনেটুনে চলা সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা এনেছেন নারীরা। মোড়া তৈরি করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন নিভৃত পল্লীর এসব নারীরা। শুধুমাত্র হাতিয়াপাড়া নয়, পাশের গ্রাম কাজীপাড়া, বটতলী ও পলাশপুরের নারীরাও মোড়া তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

সম্প্রতি মাটিরাঙার নিভৃত পল্লী হাতিয়াপাড়ায় গেলে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে মোড়া তৈরি করছেন রাহেনা আক্তার। সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ঘ ৬/৭ বছর ধরে মোড়া তৈরি করছেন। আগে একজনের আয়ে সংসার চলতো। আর এখন স্বামীর পাশাপাশি তিনিও আয় করছেন। এ টাকাতেই নতুন ঘর করেছেন। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন। একটু দূরেই পাশের বাড়িতে মোড়া তৈরি করছেন মুন্নী আক্তার। তিনি জানান, এখানকার প্রতিটি বাড়িতেই মোড়া তৈরি করা হয়। আগে অবসরে স্থানীয় নারীরা গল্প করে সময় কাটালেও এখন মোড়া তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। কারোরই যেন অবসর নেই। মোড়া তৈরি করে সকলের পরিবারেই কমবেশি আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে বলে জানালেন মুন্নী আক্তার। নারীদের তৈরি মোড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করে থাকেন স্থানীয় পাইকাররা। বিপণন প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় প্রায় প্রতিটি ঘরেই বাড়ছে মোড়া তৈরির কাজ। দিন দিন স্কুল-কলেজের ক্লাস শেষে মায়ের সঙ্গে মোড়া বানানোর কাজে ঝুঁকছে মেয়েরাও।
জানা গেছে, সপ্তাহে একজন দুই থেকে তিন জোড়া মোড়া তৈরি করতে পারে। ছোট আকারের এক জোড়া মোড়া দুইশ টাকা, মাঝারি আকারের মোড়া বানাতে আড়াইশ আর বড় আকারের মোড়া তৈরিতে খরচ পড়ে সাড়ে তিনশ টাকা। আকারভেদে এসব মোড়া প্রতি জোড়া সাড়ে তিনশ টাকা থেকে ছয়শ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। যা থেকে একেকজন সপ্তাহে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা আয় করে থাকেন।
পাহাড়ের এসব নারীদের নিপুণ হাতে তৈরি এসব মোড়া ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে সমতলের জেলাগুলোতে। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করে এসব মোড়া সমতলের জেলাগুলোতে বাজারজাত করার মতো কাজটি করে থাকেন স্থানীয় পাইকার মো. আশরাফ আলী ও দীন মোহাম্মদ রিপন। চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর বাজারে এখানকার মোড়ার ব্যাপক চাহিদার কথা জানিয়ে মোড়ার স্থানীয় পাইকার মো. আশরাফ আলী বলেন, সপ্তাহে ৭০/৮০ জোড়া মোড়া বিপণন করা হয় এসব জেলাগুলোতে।
এ বিষয়ে মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতায় ভূমিকা রাখা এসব নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তাদেরকে ঋণ প্রদানসহ মোড়া শিল্পকে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ইউএনও বিভীষণ কান্তি।
এদিকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করায় পাহাড়ী নারীরা কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন সরকারের প্রতি, পাশাপাশি এসব নারীরা যথাযথ প্রশিক্ষণসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পাহাড়ী নারীদের সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাময় শিল্প গড়ে উঠবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।