আনারসের স্বর্গ নানিয়ারচরে এবার আমেরও বাম্পার ফলন, বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা
 
নিউজ ডেস্ক
দেশে রসালো আনারসের জন্য বিখ্যাত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচরে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে আম্রপালি, ল্যাংড়া, হিমসাগরসহ নানা জাতের সুস্বাদু আমের। আর করোনাকালীন নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়েও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এ উপজেলার আম যাচ্ছে ইতালী, যুক্তরাজ্যেসহ নানা দেশে।
নানিয়ারচরে কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধীনে পরিচালিত ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ পরিচালক মোঃ মেহেদী মাসুদ জানান, নানিয়ারচরের বগাছড়ি থেকে এবার ২ হাজার ৬০০ কেজি ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি জাতের আম ইতালিতে এবং ৪০০ কেজি আম যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে। আরও ৮ হাজার ৫০০ কেজি আম রপ্তানির আদেশ পাওয়া গেছে। পাশাপশি চীনেও আম রপ্তানির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে সরকারের। কৃষি মন্ত্রনালয় আশা করছে, এ মৌসুমে প্রায় ৭০-৮০ টন রপ্তানিযোগ্য আম এ উপজেলা থেকে সরবরাহ করা যাবে।
সূত্র জানায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ সহযোগিতায় এ উপজেলায় ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকাসহ অন্যান্য জাতের আমের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় স্থানীয় হর্টিকালচার সেন্টার এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট আম চাষিদের বাগানের নিবিড় পরিচর্যা, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং সহযোগিতা প্রদান করছে তারা। এতে এ এলাকার আম বাগানের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, প্রকল্প এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রকল্পের নিজস্ব ট্রাক এর মাধ্যমে আম পরিবহন করা হচ্ছে। ফলে করোনা সংকটকালীন সময়ে আম পরিবহনেও বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে আম চাষীরা।
