খাগড়াছড়িতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ - Southeast Asia Journal

খাগড়াছড়িতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অন্তত ২০ লক্ষ টাকা আদায় করেছে উপজেলা তাইন্দং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য শাহীন সরকার। তিনি মাটিরাঙা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ১০ আগষ্ট সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের মাঝপাড়া ও কুতুব উদ্দিন সর্দার পাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে প্রায় প্রতিটি পরিবার থেকে ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে ইউপি সদস্য। অন্তত ৩২০ পরিবার থেকে তিনি নীতিবর্হিভূতভাবে এসব অর্থ আদায় করেন। মাঝপাড়া গ্রামের সর্দার মো.আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুসারে এলাকায় বিদ্যুৎ আসলেও যেভাবে খুটি বসানোর কথা ছিল শাহিন সরকার (মেম্বার) সেভাবে খুটি বসাতে দেয়নি। অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর অন্যত্র খুটি লাগানো হয়েছে। এলাকাবাসী এসবের প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় শাহীন সরকার।’

তাইন্দং ইউনিয়নের ৭নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু হানিফ বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আমাদের কাছ থেকে ৬৬ হাজার টাকা আদায় করে ইউপি সদস্য শাহিন সরকার। এসময় শাহিন তার স্বাক্ষর ও ইউপি সদস্যের সিল ব্যবহার করে টাকা আদায় করে। এছাড়া একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করে। স্থানীয় বাসিন্দা মোসা মিয়ার কাছ থেকে ৩২ হাজার টাকা, শহিদুল্লাহ’র কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং আবুল হোসেনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করার পরও তাদের বাড়ির পাশে খুটি লাগিয়ে আবার তুলে নেয় মেম্বার।’’ শাহিন সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাদেরকে নানাভাবে হামলা-মামলার হুমকি দেয়া হয়। এসব অপকর্মের জন্য নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছে ইউপি সদস্য শাহিন সরকার। তিনি গ্রামে মসজিদ নির্মাণের জন্য গ্রামবাসীর দান করা ইট, বালু, সিমেন্ট নিজের বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এই বিষয়ে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে গ্রামবাসী। ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান , ‘শাহিন নিজের স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করে গ্রামবাসীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে বলে গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে করোনার কারণে এই নিয়ে সালিশ বা মিটিং করা যায়নি।

নিজের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শাহিন সরকার । তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগের নামে আমি কারো কাছ থেকে অর্থ আদায় করিনি। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কথা। তাই এসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমার স্বাক্ষর জাল করে তারা ভুয়া টাকা আদায়ের হিসাব দেখিয়েছে।’’

তবে সরকারি ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে কোন অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই বলে জানান তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প এর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ সাকিব হোসেন। তিনি আরো বলেন , ‘স্থানীয় দালালেরা হয়তো এসব কাজ করতে পারে, এর সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন সম্পৃক্তা নেই। এসব বিষয়ে তিনি গ্রাহকদের সচতেন হওয়ার আহ্বান জানান।