ত্রিপুরা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সন্দেহ থেকেই খুন হয় মাটিরাঙ্গার পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ, ৭ উপজাতি যুবক আটক
 
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গায় গত ২৪ জুলাই প্রসুতি নারীর চিকিৎসার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণের পর পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ টিপু হত্যা মামলায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৬ আগষ্ট রোববার ও গত ১৫ আগষ্ট শনিবার বিকেলে মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়াদের আটক করার দাবি পুলিশের। আটককৃতরা হলো, গুইমারা ইউপির মাইরুং পাড়ার শসী ত্রিপুরার ছেলে শান্তি ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলার ১নং মাটিরাঙ্গা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাঁঠাল পাড়ার মহন্ত ত্রিপুরার দুই ছেলে ডেনি ত্রিপুরা (২২) ও সুমন ত্রিপুরা (২০), একই গ্রামের বিশ্বমনি ত্রিপুরার ছেলে দিপন ত্রিপুরা, বিশ্বমনি ত্রিপুরার ছেলে নীল ত্রিপুরা(১৮), নন্দী কুমার ত্রিপুরার ছেলে স্বপন ত্রিপুরা ও গুইমারা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মাইরুং পাড়ার কুমার ত্রিপুরার ছেলে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র নিপন ত্রিপুরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহনুর আলম জানান, পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদের সাথে ত্রিপুরা এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহ ছিল নিপন ত্রিপুরার। সন্দেহ থেকে ঘটনার দিন ২৪ জুলাই ভোরে বাড়ি থেকে প্রসূতি রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে নুর মোহাম্মদকে ডেকে নিয়ে যায়। নিপন ত্রিপুরার নেতৃত্বে তার অপর ৬ সহযোগীসহ মিলে হত্যা করে মরদেহ সাপমারা সেতুর নিচে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দিন ভূইয়া জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলার ৭ আসামীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই ভোর আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাঙ্গা উপজেলার ১০ নম্বর সাপমারা নামক এলাকার বাসিন্দা ও মাটিরাঙ্গা বাজারের পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ টিপুর বাড়িতে তিনজন অপরিচিত উপজাতি যুবক এসে এক প্রসুতি নারীর চিকিৎসার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে পাহাড়ী ছড়ার পাশে লাশ ফেলে রেখে যায়।
