দীঘিনালায় বাঙ্গালী নারী হত্যার প্রতিবাদে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মানববন্ধন
 
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলা বাবুছড়ায় সোনামিয়া টিলার ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেকের পরিবারের ওপর উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্রাশ ফায়ার করে তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে হত্যার প্রতিবাদে বান্দরবানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
১৬ আগষ্ট রবিবার সকাল ১১ টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলার উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা সভাপতি কাজী মোঃ মজিবর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজি নাছিরুল আলম, আব্দুস শুক্কুর, পৌর সভাপতি সামসুল হক শামু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এরশাদ চৌধুরী, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হক, জেলা নেতা মোঃ কামাল, মোঃ আবছার, মোঃ ফারুক সহ অন্যান্যরা।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ৮১২ পরিবারের জন্য সরকারের দেওয়া ৫ একর সম্পত্তি উপজাতিরা দখল করে আছে দীর্ঘ ৩ যুগ থেকে এবং তাদেরকে সাহস দিচ্ছে উপজাতি ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু) সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। আব্দুল মালেক ছিল এই ভুমিহারা পরিবারের নেতা,সন্ত্রাসীরা মনে করেছে মোঃ আব্দুল মালেককে হত্যা করতে পারলে বাঙ্গালীদের জমি দখল করে রাখতে আর কোন বাধা থাকবেনা এবং ৮১২ পরিবারের পক্ষে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে। নেতৃবৃন্দ সোনা মিয়া টিলার বাঙ্গালীদের জায়গা দ্রুত বুঝিয়ে দিতে এবং অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
এর আগে, ১৫ আগষ্ট শনিবার রাত দেড়টার দিকে দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামে আব্দুল মালেকের বসতবাড়ি লক্ষ্য করে ৩০-৪০ রাউন্ড এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষন করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আঃ মালেকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪২) ও তার শিশু পুত্র মোঃ আহাদ (১১) গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে দ্রুত স্থানীয়দের সহায়তায় রাতেই দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে পুত্র আহাদকে চিকিৎসকরা শঙ্কামুক্ত ঘোষনা করলেও রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মোর্শেদা বেগমকে মৃত ঘোষনা করেন।
উল্লেখ্য, নিহত মোর্শেদা বেগমের স্বামী আঃ মালেক দীঘিনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের সোনামিয়া টিলায় উপজাতিদের দ্বারা দখলকৃত বাঙ্গালীদের ৮১২ পরিবারের ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি।
