দীঘিনালায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাঙ্গালী নারী নিহতের ঘটনায় ঢাকায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান
 
নিউজ ডেস্ক
গত ১৫ আগষ্ট শনিবার দিবাগত রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের সোনা মিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেকের পরিবারের উপর উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্রাশফায়ার করে আব্দুল মালেকের স্ত্রীকে হত্যা ও তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। গত ১৮ আগষ্ট মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন থেকে সরকারের কাছে এ দাবী জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১২ দফা সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেছে সংগঠনটির নেতারা।
মানব বন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির, সহ-সভাপতি শেখ আহম্মেদ রাজু, সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ রানা, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলম, ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাৎ ফরাজি শাকিব সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৮১২ পরিবারের জন্য সরকারের দেওয়া ৫ একর করে সম্পত্তি উপজাতিরা দখল করে আছে দীর্ঘ ৩ যুগ থেকে এবং তাদেরকে সাহস দিচ্ছে উপজাতিদের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস। আব্দুল মালেক ছিল বাঙালীদের এই ভূমিহারা পরিবারের নেতা। সন্ত্রাসীরা মনে করেছে মোঃ অাবদুল মালেককে হত্যা করতে পারলে বাঙালীদের জমি দখল করে রাখতে আর কোন বাধা থাকবেনা এবং ৮১২ পরিবারের পক্ষে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে।
বক্তরা আরো বলেন, সোনা মিয়া টিলার বাঙালীদের জায়গা দ্রুত বাঙালীদের নিকট বুঝিয়ে দিতে হবে এবং অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল মালেকের স্ত্রীর হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে। এছাড়া সরকারীভাবে আব্দুল মালেকের আহত ছেলেটিকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
