খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতি মামলায় আদালতে ৬ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী, একজনের রিমান্ড আবেদন
 
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সদরের বলপাইয়াপাড়া গ্রামে গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিবন্ধী এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ৭ আসামীর মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল ৩ টা থেকে রাত পৌনে ৯ টা পর্যন্ত আদালত আসামীদের জবানবন্দী গ্রহণ করে। অপর আসামী ডাকাতি ও গণধর্ষণের মূল হোতা নুরুল আমিন জবানবন্দী না দেয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত ৩০ সেপ্টেম্বর রিমাণ্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করেছে বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ রশিদ জানান, খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলম ও সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী রিয়াদের আদালত ১৬৪ ধারায় আসামীদের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এর আগে একই দিন সকালে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পেছনে সাম্প্রদায়িক কোন উদ্দেশ্য ছিল না, ডাকাতি করতে ঢুকে প্রতিবন্ধী ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতার হওয়া আসামীরা। চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করা হয় জানিয়ে সেসময় খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, ৯ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল গণধর্ষণের পাশাপাশি ওই বাড়িতে লুটপাট চালায়। আসামীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার এজহারে উল্লেখিত অভিযোগের সাথে আসামীদের স্বীকারোক্তির মিল রয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকী দুই আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় অংশ নেয়া ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অস্ত্র, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে খাগড়াছড়ির বলপাইয়া গ্রামে ডাকাতি করতে ঢুকে প্রতিবন্ধী এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাত ৯ জনকে আসামী করে দুইটি মামলা করেন। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
