খাগড়াছড়িতে বিচারের নামে ইউপিডিএফ (প্রসীত) কর্তৃক ৩ উপজাতি অপহরণ, থানায় মামলা - Southeast Asia Journal

খাগড়াছড়িতে বিচারের নামে ইউপিডিএফ (প্রসীত) কর্তৃক ৩ উপজাতি অপহরণ, থানায় মামলা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন প্রসীত পন্থি ইউপিডিএফ কর্তৃক বিচারের নামে ডেকে নিয়ে ৩ উপজাতি গ্রামবাসীকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১২ অক্টোবর সোমবার রাতে অপহৃত রাজলক্ষ্মী চাকমার স্বামী এবং রণ জ্যোতি চাকমার পিতা ধর্ম দাশ চাকমা বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

সূত্রে জানা যায়, ভূমি বিরোধের একটি সমস্যার বিচার করার কথা বলে গত ১১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে জেলার দীঘিনালার বোয়ালখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ক্যামাক্কাছড়া থেকে সুকৌশলে তলিমা চাকমা(৭০), খালাইয়া চাকমা(৩০) ও শিখালা চাকমা(৩৫) নামের তিন নিরীহ উপজাতিকে অপহরণ করে ইউপিডিএফ (প্রসীত) সন্ত্রাসীরা। সূত্রটি জানায়, ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ক্যাডার অমর চাকমা ক্যামাক্কাছড়ার কার্বারী প্রণয়ন চাকমাকে মোবাইলে কল দিয়ে তলিমা চাকমা, খালাইয়া চাকমা ও শিখালা চাকমাকে বাবুছড়া এলাকায় যেতে বলে। এরপর কার্বারী ঐ তিন ব্যক্তিকে খবরটি পৌঁছে দিলে তারা বাবুছড়া যাওয়ার পর তাদের বিচারের নামে আটকে রাখে।

মামলার বাদী ধর্ম দাশ চাকমা জানান, প্রতিবেশী দানবীর চাকমার সাথে ভূমি বিরোধ ছিলো তাদের। তিনি বলেন, দানবীর চাকমার স্ত্রী তৃপ্তি চাকমার বড় ভাই ইউপিডিএফ (প্রসীত)’র বড় নেতা। গত রোববার দুপুরে স্থানীয় কার্বারী প্রণয় চাকমার মুঠোফোনের মাধ্যমে তাদের বাবুছড়া ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকেই তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন অপহৃতদের উদ্ধার চেষ্টা চলমান রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাহাড়ের আঞ্চলিক উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ পাহাড়ীদের নিজেদের মধ্যকার বিরোধকে পুঁজি করে বিচারের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকে জরিমানা করে চাঁদা আদায়, মারধর, অপহরণ, ধর্ষণ, একজনের স্ত্রীকে অন্যের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া এমনকি হত্যার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব সন্ত্রাসী সংগঠন নিজস্ব বিচার ব্যবস্থার গড়ে তুলেছে পাহাড়ের শান্তিশৃঙ্খলা চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নিরিহ পাহাড়ীরা।