সেনাবাহিনী হতে অবাঞ্ছিত কতিপয় অবসরপ্রাপ্ত বিদেশে থেকে অপপ্রচারে লিপ্ত: আইএসপিআর
 
নিউজ ডেস্ক
সেনাবাহিনীতে ‘অবাঞ্ছিত’ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বিদেশে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করাই এর উদ্দেশ্য।
আইএসপিআর বলছে, সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অবসর গ্রহণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অবসরপ্রাপ্ত প্রতিটি সেনাসদস্য অবসর জীবনে নিজেকে একজন প্রাক্তন সেনাসদস্য হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন এবং সৎ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেন। “তবে অবসর জীবনে যদি কোনো প্রাক্তন সেনাসদস্য শৃঙ্খলা বিবর্জিত জীবনযাপন করে, যা সামরিক ও বেসামরিক পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করে, তখন তাকে সংশোধনের জন্য দেশের সকল সেনানিবাস সমূহে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।”
কারও নাম উল্লেখ না করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সম্প্রতি কয়েকজন অবাঞ্ছিত ঘোষিত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বিদেশ হতে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য সম্বলিত গল্প এবং বিভিন্ন সূত্র হতে প্রাপ্ত মান্যবর ব্যক্তিদের কথোপকথনকে সংগ্রহ করত আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তা কাট-পেস্ট ও এডিট করে তাদের উদ্দেশ্য মাফিক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপনের মাধ্যমে সেনাসদস্য ও দেশের সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়ে ক্রমাগত দেশ এবং সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। “তাদের এহেন কর্মকাণ্ড তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করাটা যে যথার্থ ছিল, তাই প্রমাণ করে। তাদের এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘৃণ্য অপকর্মে প্রতিটি সেনাসদস্য অত্যন্ত মর্মাহত।” “কাল্পনিক, বাস্তবতা ও নৈতিকতা বিবর্জিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব গল্প বা বক্তব্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না, বরং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে,” বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আইএসপিআর বলছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজের জীবনকে হাসিমুখে উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত বাহিনীর প্রতিটি সদস্য।
