রাঙামাটিতে হত্যা মামলায় জনপ্রতিনিধিসহ ২ জেএসএস (সন্তু) কর্মী আটক, জেলহাজতে প্রেরণ
![]()
নিউজ ডেস্ক
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস কর্মী দুই জনপ্রতিনিধিকে আটক করা হয়েছে। চিৎমরমে অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে তাদের আটক করে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। আটকরা হলেন, চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা (৫৫) ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমা (৫০)। ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা চন্দ্রঘোনা থানাধীন উজানছড়ি এলাকার মৃত মংবা মারমার ছেলে ও ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমা উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন চংড়াছড়ি পূর্বপাড়ার খিজা মারমার ছেলে।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত তুইনুমং মারমার জেঠাতে ভাই মংক্যচিং মারমা জানান, ‘আমার ভাইকে হত্যার পর তাঁর মা ওয়াংচিং মারমা বাদী হয়ে ২৬ নভেম্বর রাজস্থলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জেএসএস সন্তু গ্রুপের দুইজন এজাহারভুক্ত আসামিকে আটক করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা একইসঙ্গে হত্যাকান্ডের জড়িত অন্য আসামিদের আটকের দাবি জানাই ও হত্যাকারিদের বিচার চাই।’
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছেন। পরে আটককৃতদের রাজস্থলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে আজ শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে এই দুই জনপ্রতিনিধিকে রাঙামাটি আদালতে তোলা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাসিন্দা তুইনুমং মারমাকে গুলি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর ২২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ হত্যার ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতাকর্মীদের দায়ী করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে রাজস্থলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা ওয়াংচিংম্রা মারমা।