৫১তম বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলনঃ ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তথ্য জানাবে বিজিবি
![]()
নিউজ ডেস্ক
ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পর্কিত ওই দেশের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে (বিএসএফ) জানাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আগামীকাল ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুই বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে বিজিবির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হবে। সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে ২৫ ডিসেম্বর।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন। অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সীমান্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ফ্রন্টিয়ার আইজিরা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সম্মেলনে ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পর্কিত তথ্য বিএসএফকে জানাবে বিজিবি। পাশাপাশি ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ এবং অস্ত্র চোরাচালান রোধে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্য বিনিময়েরও কথা রয়েছে দুই বাহিনীর।
বিজিবি জানায়, সম্মেলনে রাজশাহী সীমান্তের চর মাজারদিয়া ও চর খানপুর এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে পদ্মা নদীর ভারতীয় অংশ ব্যবহারের অনুমতি নেয়ার জন্য বিষয়টি বিএসএফের কাছে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও আহত বা হত্যা করা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানানো এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে করণীয় নিয়েও আলোচনা হবে। মাদক ও চোরাচালানের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে এবারের সীমান্ত সম্মেলনে। বিশেষ করে ভারত হতে বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ভায়াগ্রা, সেনেগ্রাসহ বিভিন্ন অবৈধ মাদক দ্রব্যের চোরাচালান রোধ। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্যের কারখানা বা গুদাম এবং মাদকের চোরাচালান রোধ, মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কিত তথ্য বিনিময় করবে বিজিবি ও বিএসএফ। একই সঙ্গে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের সীমানা লঙ্ঘন বা অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধের বিষয়েও আলোচনা হবে।