তাবলিগে গিয়ে ভারতে আটক ১১০ জনের মুক্তি চায় বাংলাদেশ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

গত বছর ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের ১১০ জন সদস্য ভারত সরকারের কালো তালিকাভুক্ত এবং দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হন। আটক হওয়া এই সদস্যদের মুক্তি চেয়েছে বাংলাদেশ। গত ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত কনস্যুলার সংলাপে এ আহ্বান জানানো হয়। এটি ছিল বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় কনস্যুলার সংলাপ। সংলাপে ভিসা সহজীকরণ এবং অপরাধ-সংক্রান্ত বিষয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গত বৃহস্পতিবার দিল্লি পৌঁছেছেন। ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বৈঠক এবং বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কনস্যুলার সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (কনস্যুলার, পাসপোর্ট, ভিসা ও বৈদেশিক সম্পর্ক)। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতে এখনও আটক বাংলাদেশের তাবলিগ জামাত সদস্যদের মুক্তি চাওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা সহজীকরণ ও ভারতে ওভার স্টে করার জন্য জরিমানা শিথিলের আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা যেন সহজেই নিবন্ধন করতে পারেন, সে অনুরোধও জানানো হয়।

এছাড়া, ভারত সফরে যাওয়ার আগে বুধবার সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আগে থেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে আছে। তার এবারের দিল্লি সফরে মোদির সফরসূচি চূড়ান্ত করার বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পররাষ্ট্র সচিব আরও জানান, সফরকালে তিনি দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত এফওসি বৈঠকেও অংশ নেবেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যোগাযোগ আরও গতিশীল করার বিষয়ে আলোচনা হবে।