সু চির উপদেষ্টা আটক, মিয়ানমারে আন্দোলন করলেই আটক!
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেনা নিয়ন্ত্রণের পর অং সান সু চিসহ দেশটির বেশিরভাগ আইনপ্রণেতাকে আটক করা হয়। এবার সু চির এক অস্ট্রেলীয় উপদেষ্টা ম্যাকায়োর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিয়ান টার্নেলকে আটক করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার সু চির অস্ট্রেলীয় উপদেষ্টাকে আটক করা হয়।
অধ্যাপক সিয়ান টার্নেল বলেন, এই মুহূর্তে আমি সম্ভবত আটক হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৈরি করা হবে। কী ঘটতে যাচ্ছে, তা আমার জানা নেই। তিনি সু চির অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাকে একটি হোটেলের ভেতরে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমারে সেনা সরকারের গ্রেফতার-নির্যাতন আতঙ্কে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দেশটির তরুন-যুব সমাজ। বিক্ষোভ দূরের কথা ভয়ে দল বেঁধে আড্ডায় নামছে না কেউ। ফেইসবুক বন্ধের পর টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সামরিক সরকার। পুলিশের হাতে আটকের ভয়ে রাস্তায় নামছে না কেউ। সেনা শাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই গ্রেফতার করা হচ্ছে মিয়ানমারে। অভ্যুত্থানের দিন থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন মানবাধিকার কর্মী ছাড়াও ১৩৩ জনই দেশটির নেত্রী ও সদ্য সাবেক স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি’র দল এনএলডির এমপি ও নেতাকর্মী।
নতুন করে ইয়াঙ্গুন থেকে গ্রেফতার করা হলো সু চি’র এনএলডির শীর্ষস্থানীয় ৭৯ বছর বয়সী নেতা উইন তেইনকে। রয়টার্সকে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে নিজের গ্রেফতারের কথা নশ্চিত করেন সু চি’র ডান হাত বলে পরিচিত এই নেতা। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মুখ খোলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আটক করে পুলিশ। তেইন জানান, ‘বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার নেপিদোতে নিয়েছে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। গ্রেফতারের আগে স্থানীয় ইংরেজি ভাষার এক সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতাগ্রহণকে ‘নট ওয়াইজ অথবা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেন তেইন। পুলিশ বলেছে, তাকে সংবিধানের ১২৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার অন্তত ২০ বছরের জেল দেয়া হতে পারে।
সেনা সরকারের প্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাইং বুধবার রাজধানী নেপিদোতে দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য ক্ষমতা নেয়ার কথা বললেও ক্ষমতা আরও দীর্ঘস্থায়ী করার আভাস দিয়েছেন। অন্তত ছয় মাস ক্ষমতায় থাকার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন’।