মিয়ানমারের পুলিশের গুলিতে আরো ৩ জন নিহত
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারের পুলিশের গুলিতে আরো ৩ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০ মার্চ শনিবার উত্তরাঞ্চলের মোগোক শহরে এই ঘটনা ঘটে। দেড় মাস ধরে চলা বিক্ষোভ-সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮ জন।
এদিকে, মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের সাথে জড়িতে ১১ সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। সোমবার এই সংক্রান্ত বিল পাস হওয়ার কথা রয়েছে। এর ফলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ১১ সেনা কর্মকর্তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ইস্যুতে শুক্রবার নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। পার্লামেন্টের অধিবেশন পুনরায় চালুর পাশাপাশি জান্তা সরকারের প্রতি সব বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়।
প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে সামরিক শাসন চলা মিয়ানমার ২০১৫ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সুবাস পেতে শুরু করে। গত নভেম্বরের নির্বাচনে সেটা কিছুটা ভিত্তি পায়। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। আটক করা হয় সু চিসহ তার দল এনএলডির অনেক নেতাকে। এর পর থেকেই প্রতিবাদ মিয়ানমারে বিক্ষোভ চলছে।
দেশটিতে আগামী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভ দমনে আইন সংশোধন করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। কেউ সশস্ত্র বাহিনীর কাজে বাধা দিলে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এছাড়া নতুন আইনে কেউ অভ্যুত্থানকারী নেতাদের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা বা অপমানসূচক’ কিছু প্রকাশ করলেই দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড বা মোটা অংকের জরিমানার মুখে পড়তে পারেন বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।