১০ মিটার এয়ার পিস্তলে সেরা রাঙামাটির তুরিং দেওয়ান
নিউজ ডেস্ক
শুটিংয়ে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল জুনিয়র বিভাগে স্বর্ণ জিতেছেন নৌবাহিনী শুটিং ক্লাবের তুরিং দেওয়ান। ৫৪৮ স্কোর করে সেরা হন তিনি। রাঙামাটির কিশোরী মেয়ে তুরিং দেওয়ান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) দশম শ্রেণির এই ছাত্রী গত মাসে শেষ হওয়া জাতীয় শুটিং প্রতিযোগিতার ১০ ও ২৫ মিটার এয়ার পিস্তল শুটিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
২০১৫ সালে ১২তম সাফ গেমসে দলগত এয়ার পিস্তল শুটিং ইভেন্টে রৌপ্যেরও ভাগীদার হয়েছে সে। একই বছরে হামিদুর রহমান জাতীয় যুব শুটিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ এবং ষষ্ঠ জাতীয় এয়ারগান প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে রাঙামাটির এই পিস্তলকন্যা। এসব সাফল্যের পর আরও বড় আসরে এই ইভেন্টে ভালো করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চায় সে।
সম্প্রতি রাঙামাটির তবলছড়ি ট্রাইবাল অফিসার্স কলোনিতে তুরিং দেওয়ানের বাড়িতে গেলে কথা হয় তার সঙ্গে। সে জানায়, নিয়মিত অনুশীলন, শৃঙ্খলা ও একাগ্রতাই তাকে এত দূর এনেছে। এভাবেই সে এগিয়ে যেতে চায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শুটিং খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই খেলার যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। তাই তুরিং শুটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চায়।
সাফল্যের পেছনে প্রশিক্ষকদের ভূমিকাই প্রধান ছিল বলে জানায় তুরিং। সে বলে, বিকেএসপি কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বিশেষ করে ফারহানা কাউসার সব সময় তাকে উৎসাহ দিয়েছেন। কোথায় ভুল হচ্ছে, কীভাবে কী করতে হয়, তা খুব যত্নসহ বুঝিয়েছেন তাকে। এ ছাড়া বাবা-মা এবং পারিবারিক বন্ধু ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) তুষার কান্তি চাকমা ও তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা চাকমার অনুপ্রেরণাও তাকে সাহস জুগিয়েছে।
তুরিংয়ের বাবা জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা—ইউএনডিপিতে কর্মরত। মা পুতুলী চাকমা গৃহিণী। মূলত তাঁদের ইচ্ছাতেই তুরিং বিকেএসপিতে পড়ছে। তুরিংয়ের বাবা-মা জানান, ২০১২ সালে বিকেএসপির ‘প্রতিভা অন্বেষণ’ কর্মসূচিতে মেয়েকে শুটিংয়ের বাছাইয়ে নিয়ে যান তাঁরা। তখন সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বাছাইপর্বে ভালো করার পরও তুরিং বিকেএসপিতে থাকতে পারবে কি না, এ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন পুষ্পল-পুতুলী দম্পতি। কিন্তু বিকেএসপিতে যাওয়ার পর শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা আর পরিচর্যায় শুটিংয়ে সে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
এদিকে নারায়াণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের মেহজাবীন (৫৪১) রুপা এবং ব্রোঞ্জ জেতেন নৌবাহিনীর আশিফা খাতুন। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল সিনিয়র বিভাগে আর্মি শুটিং অ্যাসোসিয়েশনের আনজিলা আমজাদ ৫৬৯ স্কোর করে স্বর্ণ জিতেছেন। বিকেএসপিতে শুটিংয়ের স্কিট ইভেন্টে চট্টগ্রাম রাইফেল ক্লাবের নুরউদ্দিন সেলিম ১০০ স্কোর করে স্বর্ণ জেতেন।