মিয়ানমারে আবারো রক্তাক্ত দিন, নিহত ৮০
 
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারে সামরিক জান্তবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি ও গ্রেনেড হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির বাগো শহরে হামলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনী মরদেহ সরিয়ে ফেলায় নিহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। দেশটিতে চলমান পরিস্থিতিকে গণহত্যার সাথে তুলনা করেছে বিক্ষোভকারীরা।
জান্তা সরকারের দমন পীড়নে রাজপথে কমেছে গণতন্ত্রপন্থিদের অংশগ্রহণ। তবে থেমে নেই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দমাতে চলছে নিরাপত্তাবাহিনীর হামলা। শুক্রবার রাতে বাগো শহরে অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। এলোপাতাড়ি গুলি ও গ্রেনেডে ঘটে প্রাণহানি। আটক করা হয় অনেককে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, জেয়ার মুনি প্যাগোডা কমপাউন্ডে মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়।
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিকে গণহত্যার সাথে তুলনা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ পুলিশের গুলি থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না।প্রাণ বাঁচাতে আশেপাশের গ্রামে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক বাসিন্দা।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
ফেব্রুয়ারি থেকে চলা জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ছয়শরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এরমধ্যে ৪৬ জনই শিশু। যদিও সামরিক সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জ মিন তুনের দাবি, দুই মাসে ২৪৮ বেসমারিক নাগরিক ও ১৬ পুলিশ নিহত হয়েছে।
