করোনায় ভারতে আরও ৩৪১৭ জনের মৃত্যু, কর্নাটকে অক্সিজেনের অভাবে ২ ঘণ্টায় ২৪ রোগীর মৃত্যু
 
                 
নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টানা কয়েকদিন ধরে ভারতে দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহভাবে বাড়লেও সোমবার তা কিছুটা কমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৪ হাজার। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দৈনিক মৃত্যুও নেমে এসেছে সাড়ে তিন হাজারের নিচে।
সোমবার (৩ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৭ জন। যা রোববারের তুলনায় প্রায় ২৪ হাজার কম। সর্বশেষ এই সংখ্যা নিয়ে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ জনে।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভারতে দৈনিক মৃত্যু তিন হাজারের ওপরেই রয়েছে। রোববার সেই সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৭০০-তে গিয়ে ঠেকে। তবে সোমবারের পরিসংখ্যনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৪১৭ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৯ জনে।
ভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে প্রায় ৬৪ হাজার। এর ফলে সেখানে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৪ লাখ ১৪ হাজার।
এদিকে, কর্নাটক রাজ্যের চামারাজনগর জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে ২৪ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনই করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন।
গত ২ মে রাত ১২টা থেকে ভোর ২টার মধ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিউরাপ্পা এ ঘটনা কর্মকর্তাদের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন তিন দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে
হাসপাতালটিতে ১৪৪ রোগী চিকিৎসাধীন। লোকেশ নামের একজন বলছিলেন, ‘আমার ছেলে ৭৫% সেরে উঠেছিল। যদি অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকত তবে তাকে বাঁচানো যেত।
রাজনা নামের আরেক আত্মীয় জানান, মধ্যরাতে তার ভাগ্নি তাকে কল দেন। রাত ১২ টার দিকে আমাকে ফোন করে জানায়, কোনও অক্সিজেন নেই। দয়া করে দেখুন, কিছু করা যায় কি না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে এখানে এসেছি, তখন তারা আমাদের কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়নি। আমরা যখন আবার ফোন করি, তখন কোনো উত্তর আসেনি। তার মানে, তখন অক্সিজেনের অভাবে সে মারা যায়।’
