৬৬ দিন পর ফের ১০০ ছাড়াল মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক
সারা দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮৬৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে আরো ১০৮ জনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ২২ শতাংশ।
এক দিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ৯ সপ্তাহের মধ্যে মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। গতকাল শনাক্ত হয়েছিল ৬০৫৮ জন। তার আগে ১৩ এপ্রিল এক দিনে ৬ হাজার ২৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যু। গতকালের তুলনায় আজ নতুন রোগীর সংখ্যা কমলেও শতাংশের বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৭৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৮ হাজার ২৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ২২ শতাংশ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এ বিধিনিষেধে মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।