সারাদেশে এবার শাট ডাউনের সুপারিশ: প্রস্তুত সরকার, রাজধানী ছাড়ার হিড়িক - Southeast Asia Journal

সারাদেশে এবার শাট ডাউনের সুপারিশ: প্রস্তুত সরকার, রাজধানী ছাড়ার হিড়িক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

দেশে প্রতিদিনই করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন পূর্ণ ‘শাট ডাউনের’ সুপারিশ করেছে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

গত বুধবার রাতে কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। যা পরদিন বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়েছে।

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলেছে, তাদের মতামত হলো যেসব স্থানে পূর্ণ শাট ডাউন করা হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। এ জন্য সারা দেশে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাট ডাউনের সুপারিশ করেছে কমিটি। এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে বলে কমিটির দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, শাট ডাউন মানে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রাখার কথা বোঝানো হয়েছে।

এদিকে, কমিটির দেয়া এই সুপারিশকে যৌক্তিক বলে মনে করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি জানান, সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া পরিকল্পনা চলছে। আর শাটডাউনের প্রস্তুতিও আছে সরকারের। সারাদেশে শাটডাউন করার মতো যথেষ্ঠ প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলছেন, যেহেতু করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তাই এবারের বিধিনিষেধ মানাতে আরো কঠোর হচ্ছে সরকার। যেকোনো সময় সরকার তা ঘোষণা দেবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, শাটডাউনের ঘোষণা আসবে এমন খবর শুনেই রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকালে ঢাকার প্রবেশমুখে মানুষের ঢল নামে। বাস বন্ধ থাকায় কয়েক ধাপে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতেও ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না মানুষের ঢলকে।

সকালে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা- মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড। সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটছেন নারী-পুরুষেরা। শাটডাউনের কথা শুনেই আগে আগে রাজধানী ছাড়ছেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন না পেয়ে অনেকেই আবার কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বিকল্প বাহনে অনেকগুণ বেশি ভাড়া গুনে যাচ্ছে গন্তব্যে।