সেপ্টেম্বরে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর পাঠানো হবে - Southeast Asia Journal

সেপ্টেম্বরে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর পাঠানো হবে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

উখিয়া ও টেকনাফে বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ভাসানচরে পাঠানো হবে। এব্যাপারে সরকারের উর্ধ্বতন পক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। দৈনিক কক্সবাজারের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘ সাতকাহন’ এর ফেসবুক লাইভে আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ্ রেজওয়ান হায়াত।

পত্রিকার পরিচালনা সম্পাদক মুজিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গত শনিবার রাতের লাইভে তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ অধিভুক্ত এনজিওর সাথে ভাসানচরের বিষয়ে নতুন করে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি এবার তারা রাজি হবে। তারা রাজি হোক আর না হোক সেপ্টেম্বরের শেষদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর পাঠানোই হবে।

‘প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপর্যস্ত কক্সবাজার ‘ শীর্ষক আলোচনায় অতিরিক্ত সচিব আরো বলেন, বর্তমান সরকার চায় দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠাতে। কিন্তু যতদিন ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছেনা ততদিন থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভাসানচারে ১ লাখ রোহিঙ্গার অস্থায়ী আবাসস্থল গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা সেখানে ১৯ হাজার রোহিঙ্গাকে ইতোমধ্যে পাঠিয়েছি। তাদেরকে বিভিন্ন এনজিও খাদ্য, চিকিৎসা সহ নানা সেবা দিচ্ছে।

শাহ্ রেজওয়ান হায়াত বলেন, এত ছোট জায়গায় এত বিপুল সংখ্যক লোকের বসবাসের কারণে রোহিঙ্গারা বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাও নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া উখিয়া টেকনাফের উপর চাপ কমাতেই বাকিদের ভাসানচর নেয়ার কাজ চলছে।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার হচ্ছে বাংলাদেশের হাভ। এর উন্নয়নে সরকার বদ্ধ পরিকর। তাই ধীরে ধীরে সব রোহিঙ্গাকেই সরিয়ে নেয়া হবে। সরকারের নির্দেশনা পেলে ভাসানচরে আরো সেল্টার তৈরি করা হবে।

সাতকাহনের লাইভ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের ও একাত্তর টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম মিন্টু।