রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের পদক্ষেপ চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের পদক্ষেপ চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ‘হস্তক্ষেপ’ করতে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে সহায়তার জন্য আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

আজ (রোববার) তিনি ৫৪তম আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) দিবস উপলক্ষে আসিয়ান-ঢাকা কমিটি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনিশ্চয়তা ও বিশ্বাসের অভাবে রাখাইন রাজ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা হচ্ছে না জানার পরও গত চার বছরে এ দেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের কোনো বাস্তুচ্যুত নাগরিক তাদের দেশে ফিরে যাননি।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা ও অনিশ্চয়তা দূর করার পাশাপাশি তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করা উচিৎ। এ দেশে এই বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষের উপস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে তা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং আসিয়ানসহ গোটা অঞ্চলের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে- আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মতো ঢাকারও শান্তি, উন্নয়ন, নিরাপত্তা, অর্থনীতির মতো অভিন্ন এজেন্ডা রয়েছে। তাই বাংলাদেশ আসিয়ানের একটি শক্তিশালী অংশিদার হতে পারে।’

আসিয়ান-ঢাকা কমিটির সভাপতিত্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মিশন প্রধানরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট ব্যাংককে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে আসিয়ান প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ব্রুনাই দারুসসালাম, ভিয়েতনাম, লাওস এবং কম্বডিয়া এতে যোগ দেয়। এখন আসিয়ানের সদস্য সংখ্যা ১০।