পর্যটন নিয়ে মহাপরিকল্পনা
 
নিউজ ডেস্ক
ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও পর্যটন খাতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তৈরি হয়নি পর্যটন নীতিমালা। করোনার কারনে পিছিয়ে গেলেও আইকনিক ল্যান্ডমার্ক ও দেশের ব্র্যান্ডিংকে প্রাধান্য দিয়ে অবশেষে তৈরি হচ্ছে পর্যটন মহাপরিকল্পনার কাজ। ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য সরকারের।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশ বাংলাদেশ। সেই সাথে আছে ঐতিহাসিক স্থাপনা, হাওর-বাওর ও নদী। সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামে আছে নয়নাভিরাম পাহাড়সারি। আর পর্যটনের সবচেয়ে বড় পুঁজি দেশের অতিথীপরায়ণ মানুষ। এত কিছুর পরেও তেমন বিকাশ হয়নি দেশের পর্যটন খাতের।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থা বলছে, ২০১৯ সালে সার্কের ৮টি দেশের পর্যটনে মোট আয় ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ভারতের আয় ৩১ দশমিক ৬ বিলিয়ন, শ্রীলংকার ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৯৪৮ মিলিয়ন ডলার। অথচ বাংলাদেশের আয় মাত্র ৩৯১ মিলিয়ন ডলার।
দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও তার বাস্তবায়ন সামান্যই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু অবকাঠামো তৈরি করেই পর্যটনের উন্নয়ন হবে না। প্রয়োজন পর্যটনবান্ধব নীতিমালা ও পরিকল্পনা।
দেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা তৈরির কাজে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আইপি গ্লোবালকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় থেমে যায় কাজ। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এ বছরই আবার কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েেছন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন জানালেন, দেশের ব্র্যান্ডিং এবং আইকনিক ল্যান্ড মার্ক, এই দুটিকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যানে। ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবে মাস্টার প্ল্যানের কাজ।
সচিব জানান, পর্যটন মহাপরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ – উভয় পর্যটনের প্রসারেই গুরুত্ব দেয়া হবে। তিনি বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়নে কর্মসংস্থার সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও বেগবাগ হবে।
