ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার, সিলেটের প্রকৌশলীকে তলব - Southeast Asia Journal

ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার, সিলেটের প্রকৌশলীকে তলব

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহারের অভিযোগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহাকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া তার আনীত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাকে তলব করা হয়।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিভাগের সঙ্গে নিয়মমাফিক চলছেন না। শুনেছি, তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। এ অভিযোগের সত্যতা জানতে তাকে তলব করা হয়েছে।

কমিটির আরেক সদস্য বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে তুষার কান্তি সাহার ভারতের কলকাতায় বাড়ি-গাড়ি রয়েছে। সপরিবারে সেখানেই থাকেন। তিনি সরকারি কাজের অবহেলা করে প্রায়ই ভারতে যান।

সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগগুলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব/অতিরিক্ত সচিবের মাধ্যমে পুনঃতদন্ত করে আগামী সভায় উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।

সেতুর টোল আদায়ে কমন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুপারিশ
সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা পুলিশের পরিবর্তে নিজস্ব জনবল চায় সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে কমিটি সব সেতুর টোল আদায়ে একটি কমন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

বৈঠকে সংসদীয় সাব-কমিটির পক্ষ থেকে এ সুপারিশ এসেছে। সংসদীয় কমিটির মূল বৈঠকে সাব-কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তবে বৈঠকে এ প্রতিবেদন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

এর আগে ধলেশ্বরী সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতুসহ অন্যান্য সেতুর টোল আদায় পদ্ধতি এবং দরপত্র ছাড়া সময় বাড়ানোসহ যাবতীয় কার্যক্রম তদন্তে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ধলেশ্বরী সেতুর টোল আদায়ে অনিয়মের খবরের পরিপ্রেক্ষিতেই ওই সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

সাব-কমিটির প্রধান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক বলেন, রোববারের বৈঠকে আমরা সাব-কমিটির প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি।

এ সাব-কমিটির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়-এতে তারা সাতটি সুপারিশ করেছে। সুপারিশে সড়ক ও সেতু বিভাগের সব সেতুর টোল আদায়ে সাধারণ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এত করে যেকোনো নাগরিক চাইলে প্রতিদিনকার টোল আদায়ের তথ্য অনলাইনে দেখতে পাবেন।

সুপারিশে কোনো অবস্থাতেই দরপত্র ছাড়া কার্যাদেশের মেয়াদ না বাড়ানো, টোল আদায় ব্যবস্থাপনা নিবিড় তদরকি, রাস্তা ও যানবাহনের ধরন ও পরিমাণের ভিত্তিতে একটি মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এনে সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা, বিপদজনক বাঁকগুলো সরলীকরণ এবং মহাসড়কে নসিমন-করিমন ও অন্যান্য ব্যাটারিচালিত যান নিষিদ্ধকরণ, পুলিশ বাহিনীর পরিবর্তে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিজস্ব জনবল দিয়ে সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং টেন্ডারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার আগপর্যন্ত ধরেশ্বরী সেতুর টোল নিজস্ব জনবল দিয়ে আদায়ের সুপারিশ করা হয়।

একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহউদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন এবং রাবেয়া আলীম অংশ নেন।