মৃত্যুর আগেই হামলার শঙ্কায় ছিলেন মুহিবুল্লাহ - Southeast Asia Journal

মৃত্যুর আগেই হামলার শঙ্কায় ছিলেন মুহিবুল্লাহ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

গত ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্পের ভেতরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ। তবে, মৃত্যুর আগেই হামলার শঙ্কা জানিয়েছিলেন তিনি। হামলার দিন মুহিবুল্লাহর ১৫ জন দেহরক্ষীর মধ্যে ১৪ জনই পাশে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন আরেক দেহরক্ষী নুরুল আলম।

তিনি আরো জানান, মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর তাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এর আরো ১০-১৫ জনকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে হত্যাকারীরা। তবে কারা হুমকি দিচ্ছে, তা স্পষ্ট করেননি নুরুল।

এছাড়া মুহিবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ জনদের কাছ থেকে জানা যায়, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় সময়েই তাকে মোবাইলে বলা হতো যে “তোমাকে আমরা শেষ করে দেব”।

“এমনকি রোহিঙ্গা শিবিরে যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো আছে তাদের তরফ থেকেও মুহিবুল্লাহকে হুমকি দেয়া হতো। কিন্তু সে হুমকি তিনি উড়িয়ে দিতেন। তার একটা শক্তি ছিল যে সাধারণ মানুষ তো তার পক্ষে আছে।”

এছাড়াও, আরসার সন্ত্রাসীরাই তার ভাইকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন মহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ। কয়েকজনের নামও বলেন তিনি। যদিও মুহিবুল্লাহর হত্যা মামলার এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করেননি হাবিবুল্লাহ।

মুহিবুল্লাহ হত্যার পর থেকে এপর্যন্ত পুলিশ অন্তত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পাশাপাশি ক্যাম্পে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত এপিবিএন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন রয়েছে এপিবিএন। মুহিবুল্লাহ হত্যার প্রকৃত রহস্য খুঁজতেও সহযোগিতা করছে তারা। মুহিবুল্লাহ’র পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান এপিবিএন কর্মকর্তারা।

এছাড়াও, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িতদের ধরতে জোরালো তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ ছিলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ হওয়া রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, শরণার্থী শিবিরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দাবি-দাওয়া তুলে ধরার প্রচেষ্টায় কাজ করত তার এই সংগঠন।