আফগানিস্তানের জব্দ টাকার অর্ধেক পাবে ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা
 
                 
নিউজ ডেস্ক
খাদ্যের অভাবসহ চরম মানবিক বিপর্যয়ে থাকা আফগান নাগরিকদের জব্দকৃত রিজার্ভের অর্থ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে জব্দ করা ৭ বিলিয়ন ডলারের শুধু অর্ধেকটাই পাবে আফগানিস্তানের মানুষ। বাকি অর্ধেক নাইন ইলেভেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। তীব্র খাদ্য সঙ্কটে আছে ৮০ লাখ মানুষ। তাদের বেশিরভাগেরই নেই দিনে একবেলা খাবারের নিশ্চয়তা। দ্রুত আন্তর্জাতিক সহায়তা না পেলে ভেঙে পড়বে আফগানিস্তান বলছেন বিশ্লেষকরা।
তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই অর্থসঙ্কটে ছিল দেশটি। আফগানিস্তানের ৭৫ শতাংশ খরচ আসতো বিদেশী ত্রাণ সহযোগিতা থেকে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান ক্ষমতা নিলে সাহায্য বন্ধ হয়ে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গচ্ছিত রাখা আফগানিস্তানের ৭ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ জব্দ করে মার্কিন সরকার।
এদিকে অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আফগান বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কাজের অভাবে পথে বসেছেন লাখ লাখ মানুষ। খাদ্যের অভাবেও মারা গিয়েছে অনেকে।
তালেবান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার দাবির প্রেক্ষিতে আফগান জনগণকে অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে জব্দ ৭০০ কোটি ডলারের পুরোটা ফেরত দেবে না মার্কিন সরকার।
মোট অর্থের অর্ধেক নাইন ইলেভেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটনের। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক নির্বাহী আদেশে শুক্রবার ওই অর্থ জব্দ করেছেন। এদিকে নাইন ইলেভেন হামলায় কোন আফগান নাগরিক জড়িত না থাকায় তাদের অর্থ কেন জব্দ করা হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জব্দ করা আফগান অর্থ নিয়ে মার্কিন আদালতে মামলা চলছে। নাইন ইলেভেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ওই অর্থের দাবি করে মামলাটি করেছিলেন। এ কারণে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ যুক্তরাষ্ট্রেই রাখা হবে।
ছাড়কৃত অর্থ তালেবান সরকারের হাতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিবিসি। সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের এ তহবিল আফগান জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করবে মার্কিন সরকার।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পক্ষ থেকে জানানো হয়ছে, আফগানিস্তানের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাকে শুধু ভয়াবহ শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা সম্ভব না। দেশটিতে প্রায় ৫০ লাখ শিশুও গর্ভবতী নারী পুষ্টিহীনতার দ্বারপ্রাান্তে আছে। একবেলা খাবার যোগাড় করাই তাদের জন্য কষ্টকর।
কয়েক দশকের যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির ওপর প্রকৃতিও যেন রুষ্ঠ। অর্থসংকটের সাথে যোগ দিয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহ শীত। তিব্র ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে নেই প্রয়োজনীয় জ্বালানি। সাত বছরের ছোট্ট এই মেয়েটি ঘর উষ্ণ রাখতে পোড়াচ্ছে কাপড়।
তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই অর্থসঙ্কটে ছিল আফগানিস্তান। দেশটির ৭৫ শতাংশ খরচই আসতো বিদেশী ত্রাণ সহযোগিতা থেকে। তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর সেই সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।
