স্পেন ও পর্তুগালে তীব্র তাপদাহ, প্রাণহানি ৩০০ ছাড়িয়েছে - Southeast Asia Journal

স্পেন ও পর্তুগালে তীব্র তাপদাহ, প্রাণহানি ৩০০ ছাড়িয়েছে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

তীব্র তাপদাহে নাজুক ইউরোপের জনজীবন। অতি গরমে গত মঙ্গলবার থেকে স্পেন ও পর্তুগালে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার দেশে তাপদাহের প্রথম তিনদিনেই ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

গত ১০ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত মারা যাওয়ার কারণকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়াকে দায়ী করছে স্প্যানিশ সরকার। গত কয়েকদিন দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে তাপমাত্রা।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, স্পেনে তাপদাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে প্রাণহানি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

চলতি বছরে স্পেনে দ্বিতীয়বারের মতো তাপপ্রবাহ চলছে। প্রথম তাপপ্রবাহ গত ১১ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এতে স্পেনজুড়ে ৮২৯ জনের মতো লোকের মৃত্যু হয়। তখন ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল দেশটিতে।

এই সময়ে মানুষকে সুস্থ থাকতে বার বার বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি ছায়াঘেরা স্থানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

শুষ্ক আবহাওয়া এবং তাপদাহে গত মঙ্গলবার থেকে পর্তুগালের তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে। স্পেনের সংবাদমাধ্যম ইএফই জানিয়েছে, দুই দেশে গরমে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে জরুরি বিভাগ।

যুক্তরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে যুক্তরাজ্যজুড়ে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে সেখানে। সোমবার (১৮ জুলাই) ও মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) লন্ডন, ম্যানচেস্টার ও ইয়র্ক এলাকার জন্য এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জনজীবনের ঝুঁকি এড়াতে শুক্রবার (১৫ জুলাই) এ সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, জীবনের ঝুঁকি এড়াতে দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে রেল চলাচলে গতি কমানো, স্কুলের সময়সীমা কমিয়ে আনা ও হাসপাতালগুলোতে বেশ কিছু এপয়েন্টমেন্ট বাতিল করা হয়েছে।

আবহাওয়ার অফিসের সতর্কবার্তার পর যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাপপ্রবাহের চতুর্থ ধাপে সতর্কতা জারি করেছে। গরমে মানুষ অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) নেতারা শুক্রবার সন্ধ্যায় সতর্ক করে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের আরও বেশি চাহিদা থাকবে এবং গরম আবহাওয়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। একটি চিঠিতে তারা বলেছে যে অ্যাম্বুলেন্সগুলো রোগীদের তোলার আগে ৩০ মিনিটের বেশি জরুরি বিভাগের বাইরে অপেক্ষা করা উচিত নয়।

আবহাওয়া অফিসের মুখপাত্র গ্রাহাম ম্যাজ বলেছেন যে ‘ এটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি’, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর ৫০ ভাগ শঙ্কা রয়েছে।

যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ছিল ২০১৯ সালে কেমব্রিজে ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বিবিসির আবহাওয়া উপস্থাপক ম্যাট টেলর বলেছেন যে এখন যুক্তরাজ্যে তাপম্রাতা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছানোর শঙ্কা রয়েছে।